
ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি তৈরি না করলে ডিজিটাল রূপান্তর কেবল বিভ্রমে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এবং বাংলাদেশ সরকার।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার সেফটি এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ।
তিনি জানান, দেশে একাধিক ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির ঘাটতির কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকর ব্যবহার ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার ইতোমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি ভিত্তি—সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স কাঠামো—গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)-এর মূল স্তম্ভ হবে।
টেলিযোগাযোগ ও ডিভাইস অ্যাক্সেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা তখনই কার্যকর হবে, যখন শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সব নাগরিকের হাতে নিরাপদ ডিভাইস এবং সমান নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সহকারী জানান, প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেটের ধারণা নিয়ে সরকার কাজ করছে, যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তঃখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জনআস্থা অর্জনের প্রধান শর্ত।
সম্মেলনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা গভর্ন্যান্সে পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে তিনটি পৃথক অধিবেশনে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং আইন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমে এবং বিভিন্ন সরকারি নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পেশাদার সংগঠন ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করলে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ডেটা গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি তৈরি না করলে ডিজিটাল রূপান্তর কেবল বিভ্রমে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এবং বাংলাদেশ সরকার।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার সেফটি এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ।
তিনি জানান, দেশে একাধিক ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির ঘাটতির কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকর ব্যবহার ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার ইতোমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি ভিত্তি—সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স কাঠামো—গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)-এর মূল স্তম্ভ হবে।
টেলিযোগাযোগ ও ডিভাইস অ্যাক্সেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা তখনই কার্যকর হবে, যখন শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সব নাগরিকের হাতে নিরাপদ ডিভাইস এবং সমান নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সহকারী জানান, প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেটের ধারণা নিয়ে সরকার কাজ করছে, যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তঃখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জনআস্থা অর্জনের প্রধান শর্ত।
সম্মেলনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা গভর্ন্যান্সে পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে তিনটি পৃথক অধিবেশনে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং আইন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমে এবং বিভিন্ন সরকারি নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পেশাদার সংগঠন ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করলে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ডেটা গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি তৈরি না করলে ডিজিটাল রূপান্তর কেবল বিভ্রমে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এবং বাংলাদেশ সরকার।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার সেফটি এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ।
তিনি জানান, দেশে একাধিক ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির ঘাটতির কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকর ব্যবহার ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার ইতোমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি ভিত্তি—সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স কাঠামো—গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)-এর মূল স্তম্ভ হবে।
টেলিযোগাযোগ ও ডিভাইস অ্যাক্সেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা তখনই কার্যকর হবে, যখন শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সব নাগরিকের হাতে নিরাপদ ডিভাইস এবং সমান নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সহকারী জানান, প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেটের ধারণা নিয়ে সরকার কাজ করছে, যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তঃখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জনআস্থা অর্জনের প্রধান শর্ত।
সম্মেলনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা গভর্ন্যান্সে পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে তিনটি পৃথক অধিবেশনে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং আইন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমে এবং বিভিন্ন সরকারি নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পেশাদার সংগঠন ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করলে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ডেটা গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি তৈরি না করলে ডিজিটাল রূপান্তর কেবল বিভ্রমে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এবং বাংলাদেশ সরকার।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার সেফটি এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ।
তিনি জানান, দেশে একাধিক ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির ঘাটতির কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকর ব্যবহার ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার ইতোমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি ভিত্তি—সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স কাঠামো—গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)-এর মূল স্তম্ভ হবে।
টেলিযোগাযোগ ও ডিভাইস অ্যাক্সেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা তখনই কার্যকর হবে, যখন শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সব নাগরিকের হাতে নিরাপদ ডিভাইস এবং সমান নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সহকারী জানান, প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেটের ধারণা নিয়ে সরকার কাজ করছে, যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তঃখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জনআস্থা অর্জনের প্রধান শর্ত।
সম্মেলনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা গভর্ন্যান্সে পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে তিনটি পৃথক অধিবেশনে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং আইন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমে এবং বিভিন্ন সরকারি নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পেশাদার সংগঠন ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করলে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ডেটা গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!