বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেমের ব্র্যান্ড অনার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে তাদের অত্যাধুনিক স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির স্থানীয় উৎপাদন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কারখানায় সংযোজিত প্রথম ডিভাইসগুলো খুব শিগগিরই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল নিয়ে বাজারে আসবে। বৈশ্বিক এআই উদ্ভাবনকে স্থানীয় সক্ষমতার সঙ্গে মিলিয়ে উৎপাদন উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করাই অনারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনারের ডিভাইসগুলোতে উন্নত এআই প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার যে বৈশ্বিক কৌশল, বাংলাদেশেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সংযোজন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই-চালিত অটোমেশন ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা ও নির্ভুলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে কারখানাটি একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১,৫০০ ইউনিট উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম বছরের মধ্যেই উৎপাদন চাহিদা বিবেচনায় আরও চারটি নতুন লাইন চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অনার।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। আমাদের দক্ষতার ঘাটতি কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। অনার ও স্মার্ট টেকনোলজিস দেশেই কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ উদ্বোধন সেটির বাস্তব রূপ। তিনি আরও জানান, কারখানার নতুন লাইনগুলো কর্মসংস্থানবান্ধবভাবে পরিকল্পিত। এর ফলে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, প্রযুক্তি বিনিময় বাড়বে এবং ডিভাইস খাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ত্বরান্বিত হবে।
অবৈধ স্মার্টফোন আমদানি মোকাবিলায় খুব শিগগিরই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে শুল্ক কাঠামো সংস্কারের কাজও চলমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০-৮০ শতাংশেও যেতে পারে।
অনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং বলেন, এই কারখানা শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি অনার ও বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বের প্রতীক। যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় সক্ষমতা একত্র হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার—উৎপাদনে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সর্বোচ্চ সততা নিশ্চিত করা।
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং, কান্ট্রি ম্যানেজার ল্যাং গুও, হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অনার ফোনের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা আরও সাশ্রয়ী দামে ফোন চান। সে কারণেই স্থানীয় উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার ইউনিট, প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই কারখানা শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়; এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অংশীদার হওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করা অনার বর্তমানে প্রায় ৩% বাজারহিস্যা দখল করেছে। আগামী বছর তা ১০%–এ উন্নীত করার লক্ষ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই নতুন কারখানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে অনার।
বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেমের ব্র্যান্ড অনার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে তাদের অত্যাধুনিক স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির স্থানীয় উৎপাদন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কারখানায় সংযোজিত প্রথম ডিভাইসগুলো খুব শিগগিরই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল নিয়ে বাজারে আসবে। বৈশ্বিক এআই উদ্ভাবনকে স্থানীয় সক্ষমতার সঙ্গে মিলিয়ে উৎপাদন উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করাই অনারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনারের ডিভাইসগুলোতে উন্নত এআই প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার যে বৈশ্বিক কৌশল, বাংলাদেশেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সংযোজন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই-চালিত অটোমেশন ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা ও নির্ভুলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে কারখানাটি একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১,৫০০ ইউনিট উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম বছরের মধ্যেই উৎপাদন চাহিদা বিবেচনায় আরও চারটি নতুন লাইন চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অনার।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। আমাদের দক্ষতার ঘাটতি কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। অনার ও স্মার্ট টেকনোলজিস দেশেই কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ উদ্বোধন সেটির বাস্তব রূপ। তিনি আরও জানান, কারখানার নতুন লাইনগুলো কর্মসংস্থানবান্ধবভাবে পরিকল্পিত। এর ফলে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, প্রযুক্তি বিনিময় বাড়বে এবং ডিভাইস খাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ত্বরান্বিত হবে।
অবৈধ স্মার্টফোন আমদানি মোকাবিলায় খুব শিগগিরই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে শুল্ক কাঠামো সংস্কারের কাজও চলমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০-৮০ শতাংশেও যেতে পারে।
অনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং বলেন, এই কারখানা শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি অনার ও বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বের প্রতীক। যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় সক্ষমতা একত্র হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার—উৎপাদনে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সর্বোচ্চ সততা নিশ্চিত করা।
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং, কান্ট্রি ম্যানেজার ল্যাং গুও, হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অনার ফোনের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা আরও সাশ্রয়ী দামে ফোন চান। সে কারণেই স্থানীয় উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার ইউনিট, প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই কারখানা শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়; এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অংশীদার হওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করা অনার বর্তমানে প্রায় ৩% বাজারহিস্যা দখল করেছে। আগামী বছর তা ১০%–এ উন্নীত করার লক্ষ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই নতুন কারখানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে অনার।
বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেমের ব্র্যান্ড অনার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে তাদের অত্যাধুনিক স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির স্থানীয় উৎপাদন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কারখানায় সংযোজিত প্রথম ডিভাইসগুলো খুব শিগগিরই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল নিয়ে বাজারে আসবে। বৈশ্বিক এআই উদ্ভাবনকে স্থানীয় সক্ষমতার সঙ্গে মিলিয়ে উৎপাদন উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করাই অনারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনারের ডিভাইসগুলোতে উন্নত এআই প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার যে বৈশ্বিক কৌশল, বাংলাদেশেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সংযোজন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই-চালিত অটোমেশন ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা ও নির্ভুলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে কারখানাটি একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১,৫০০ ইউনিট উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম বছরের মধ্যেই উৎপাদন চাহিদা বিবেচনায় আরও চারটি নতুন লাইন চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অনার।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। আমাদের দক্ষতার ঘাটতি কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। অনার ও স্মার্ট টেকনোলজিস দেশেই কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ উদ্বোধন সেটির বাস্তব রূপ। তিনি আরও জানান, কারখানার নতুন লাইনগুলো কর্মসংস্থানবান্ধবভাবে পরিকল্পিত। এর ফলে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, প্রযুক্তি বিনিময় বাড়বে এবং ডিভাইস খাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ত্বরান্বিত হবে।
অবৈধ স্মার্টফোন আমদানি মোকাবিলায় খুব শিগগিরই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে শুল্ক কাঠামো সংস্কারের কাজও চলমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০-৮০ শতাংশেও যেতে পারে।
অনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং বলেন, এই কারখানা শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি অনার ও বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বের প্রতীক। যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় সক্ষমতা একত্র হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার—উৎপাদনে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সর্বোচ্চ সততা নিশ্চিত করা।
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং, কান্ট্রি ম্যানেজার ল্যাং গুও, হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অনার ফোনের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা আরও সাশ্রয়ী দামে ফোন চান। সে কারণেই স্থানীয় উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার ইউনিট, প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই কারখানা শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়; এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অংশীদার হওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করা অনার বর্তমানে প্রায় ৩% বাজারহিস্যা দখল করেছে। আগামী বছর তা ১০%–এ উন্নীত করার লক্ষ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই নতুন কারখানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে অনার।
বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেমের ব্র্যান্ড অনার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে তাদের অত্যাধুনিক স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির স্থানীয় উৎপাদন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অনারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কারখানায় সংযোজিত প্রথম ডিভাইসগুলো খুব শিগগিরই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল নিয়ে বাজারে আসবে। বৈশ্বিক এআই উদ্ভাবনকে স্থানীয় সক্ষমতার সঙ্গে মিলিয়ে উৎপাদন উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করাই অনারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনারের ডিভাইসগুলোতে উন্নত এআই প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার যে বৈশ্বিক কৌশল, বাংলাদেশেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সংযোজন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই-চালিত অটোমেশন ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা ও নির্ভুলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে কারখানাটি একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১,৫০০ ইউনিট উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম বছরের মধ্যেই উৎপাদন চাহিদা বিবেচনায় আরও চারটি নতুন লাইন চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অনার।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। আমাদের দক্ষতার ঘাটতি কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। অনার ও স্মার্ট টেকনোলজিস দেশেই কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ উদ্বোধন সেটির বাস্তব রূপ। তিনি আরও জানান, কারখানার নতুন লাইনগুলো কর্মসংস্থানবান্ধবভাবে পরিকল্পিত। এর ফলে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, প্রযুক্তি বিনিময় বাড়বে এবং ডিভাইস খাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ত্বরান্বিত হবে।
অবৈধ স্মার্টফোন আমদানি মোকাবিলায় খুব শিগগিরই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে শুল্ক কাঠামো সংস্কারের কাজও চলমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০-৮০ শতাংশেও যেতে পারে।
অনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং বলেন, এই কারখানা শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি অনার ও বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বের প্রতীক। যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় সক্ষমতা একত্র হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার—উৎপাদনে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সর্বোচ্চ সততা নিশ্চিত করা।
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং, কান্ট্রি ম্যানেজার ল্যাং গুও, হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে অনার ফোনের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা আরও সাশ্রয়ী দামে ফোন চান। সে কারণেই স্থানীয় উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার ইউনিট, প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই কারখানা শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়; এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি উৎপাদনে অংশীদার হওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করা অনার বর্তমানে প্রায় ৩% বাজারহিস্যা দখল করেছে। আগামী বছর তা ১০%–এ উন্নীত করার লক্ষ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই নতুন কারখানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে অনার।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!