-1765949621868-771847755.jpg&w=1920&q=75)
ঢাকা-৮ আসনের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, ফয়সালের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঢাকার আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে ফয়সাল করিমের বোনের বাসা ও পাশের ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে দুটি ভরা ম্যাগজিন, ১১টি গুলি এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে একটি ট্যাব, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি পুরনো বাটন ফোন, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল করিম ও তার সহযোগী আলমগীর মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর, ফয়সালের মা ও ভাগিনাকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফয়সাল ও আলমগীর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর কোনটি দিয়ে হাদিকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নরসিংদী সদর থানাধীন তরুয়া এলাকায় একটি বিলের পানির মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোছা. হাসি বেগম (৬০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। তিনি প্রায়ই আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন এবং পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মায়ের কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং আর্থিক সহায়তাও করেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
হত্যাচেষ্টা ঘটনায় হাদির পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং পালাতে সহায়তার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-1765949621868-771847755.jpg&w=1920&q=75)
ঢাকা-৮ আসনের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, ফয়সালের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঢাকার আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে ফয়সাল করিমের বোনের বাসা ও পাশের ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে দুটি ভরা ম্যাগজিন, ১১টি গুলি এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে একটি ট্যাব, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি পুরনো বাটন ফোন, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল করিম ও তার সহযোগী আলমগীর মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর, ফয়সালের মা ও ভাগিনাকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফয়সাল ও আলমগীর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর কোনটি দিয়ে হাদিকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নরসিংদী সদর থানাধীন তরুয়া এলাকায় একটি বিলের পানির মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোছা. হাসি বেগম (৬০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। তিনি প্রায়ই আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন এবং পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মায়ের কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং আর্থিক সহায়তাও করেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
হত্যাচেষ্টা ঘটনায় হাদির পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং পালাতে সহায়তার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-1765949621868-771847755.jpg&w=1920&q=75)
ঢাকা-৮ আসনের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, ফয়সালের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঢাকার আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে ফয়সাল করিমের বোনের বাসা ও পাশের ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে দুটি ভরা ম্যাগজিন, ১১টি গুলি এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে একটি ট্যাব, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি পুরনো বাটন ফোন, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল করিম ও তার সহযোগী আলমগীর মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর, ফয়সালের মা ও ভাগিনাকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফয়সাল ও আলমগীর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর কোনটি দিয়ে হাদিকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নরসিংদী সদর থানাধীন তরুয়া এলাকায় একটি বিলের পানির মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোছা. হাসি বেগম (৬০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। তিনি প্রায়ই আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন এবং পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মায়ের কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং আর্থিক সহায়তাও করেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
হত্যাচেষ্টা ঘটনায় হাদির পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং পালাতে সহায়তার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-1765949621868-771847755.jpg&w=1920&q=75)
ঢাকা-৮ আসনের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, ফয়সালের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঢাকার আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে ফয়সাল করিমের বোনের বাসা ও পাশের ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে দুটি ভরা ম্যাগজিন, ১১টি গুলি এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে একটি ট্যাব, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি পুরনো বাটন ফোন, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল করিম ও তার সহযোগী আলমগীর মোটরসাইকেলে বাসা থেকে বের হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর, ফয়সালের মা ও ভাগিনাকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফয়সাল ও আলমগীর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর কোনটি দিয়ে হাদিকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নরসিংদী সদর থানাধীন তরুয়া এলাকায় একটি বিলের পানির মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোছা. হাসি বেগম (৬০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। তিনি প্রায়ই আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন এবং পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মায়ের কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং আর্থিক সহায়তাও করেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
হত্যাচেষ্টা ঘটনায় হাদির পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং পালাতে সহায়তার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!