আক্তারুজ্জামান : একটা গল্প প্রচলিত আছে- খোলা আকাশের নিচে ঘুমন্ত এক বাউণ্ডুলেকে জাগিয়ে এক ভদ্রলোক প্রশ্ন করছে; কীরে এখানে ঘুমাচ্ছিস কেন? বাউণ্ডুলে পাল্টা প্রশ্ন করে বললো: তো কী করবো?
ভদ্রলোক বলে কাজ করে টাকা ইনকাম করবি। বাউণ্ডুলে আবারও জানতে চায় টাকা ইনকাম করে কী করবো? ভদ্রলোক তখন বলে টাকা দিয়ে জীবনে আরাম করবি। বাউণ্ডুলে তখন ক্ষেপে গিয়ে বলে, তা এতোক্ষণ আমি কি করছিলাম?
এটুকু বলার অর্থ হলো- আমরা সুখ নষ্ট করে সুখের সন্ধান করছি। বিদ্যার্জনের দৌঁড় শেষে সন্ধান চাকুরির। এরপর একঘেয়ে জীবন। সব মিলিয়ে ‘ভাল্লাগে না’ রোগের রোগী হয়ে যাচ্ছি আমরা। শহুরে ব্যস্ততা, যান্তিকতা আর প্রযুক্তির দূষিত ধোঁয়ায় জীবন অতিষ্ঠ। জীবিকার খোঁজে সুস্থ মানুষ পথে নেমে ঘরে ফিরছে হাজারো অসুখ নিয়ে।
কিন্তু জীবনে শান্তির জন্য এতো দৌঁড় প্রয়োজন নেই। ঘুম ভাঙিয়ে ঘুম পাড়ানোর কোনো মানেই হয় না। ছোট্ট জীবনে ছোট্ট একটা জীবিকার ব্যবস্থা সবাই করতে পারে। চাষাবাদ, গাড়ি চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ছোটখাটো চাকরি করলেই জীবন চালানো যায়।
অথচ বড় স্বপ্ন, বড় বড় আশার পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা হারিয়ে ফেলছি জীবনের সুখ। শরীরে ও মনে বাসা বাঁধছে বড়বড় রোগ। এভাবে জীবনকে ব্যস্ত না করে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করলেই মিলবে সুখ।