তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতা পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে। মুহূর্তেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ সম্ভব। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যেমন উৎকর্ষ সাধন হয়েছে, তেমনি পৃথিবীর নানান বর্ণ-গোত্রের মানুষের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী-পুরুষের পরিচয়ের হচ্ছে। সেই পরিচয় অনেক সময় প্রণয়-পরিণতির দিকে গড়ায়।
এই বিষয়টাকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ১৪ মে পালিত হয় ‘অনলাইন রোমান্স ডে’ হিসেবে। অর্থাৎ অনলাইনে রোমান্স করার দিন। অনলাইন রোমান্স ডে উদ্যাপনের জন্য ব্যক্তিদের ডেটিং প্ল্যাটফর্মে প্রিয়জনকে ভার্চুয়াল কার্ড পাঠানো বা অনলাইনে প্রেম খোঁজার সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করা হয়।
অনলাইন রোমান্স দিবসের ইতিহাসও রয়েছে। প্রেমের অনুসন্ধান ১৯৬৫ সালে প্রথম ডেটিং পরিষেবা ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করে। ১৯৯৫ সালে Match.com এর ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং অবশেষে অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়।
২০০৭ সালের দিকে অনলাইন ডেটিং ছিল দ্বিতীয় জনপ্রিয় অনলাইন পেইড পরিষেবা। এভাবেই সারাবিশ্বে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অনলাইন ডেটিং।
বর্তমানে শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়, বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ,গুলোতে নারী-পুরুষ রোমান্স করতে পারেন তাদের পছন্দ অনুযায়ী।
চ্যাট রুম ও মেইলিং তালিকার আগের ফর্ম থেকে শুরু করে আধুনিক ডেটিং সাইট যেমন- বাবল, টিন্ডার, ওকেকিউপিড ইত্যিাদি এখন অনলাইন ডেটিং দ্রুত মূলধারার অংশ হয়ে উঠছে।