• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়: জরিপ

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একাধিক সাংসদ। বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের দুজন সংসদ সদস্য এই আহ্বান জানান।

লালমনিরহাট-১ আসনের সাংসদ মোতাহার হোসেন বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সরকারি দলের সাংসদ মোতাহার হোসেন বলেন, চীনের দুঃখ যেমন হোয়াংহো নদী, তেমনি তিস্তা নদী তাঁর এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। ক্যানেলে ভারত থেকে যে পানি আসে, তা খুব সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হলো না। যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি করা গেলে এই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান সরকারি দলের আরেক সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ারদার।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা খাত দুর্বল হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশেষত গ্রামে-গঞ্জে ভালোভাবে ক্লাস করতে পারছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। কয়েকদফা ছুটি বাড়িয়ে সেই সময় ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়নি সরকার।

আর গতবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে।

সরকারি কাজেও পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারি দলের সাংসদ আনোয়ারুল আবেদিন খান। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সংসদে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু আইন পাসের পর তা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এটি করার অর্থ কী?

অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সরকারি দলের সাংসদ এস এম শাহজাদা, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ খালেদা খানম, স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর