পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ইকুইটি ফান্ড গঠনের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, কর ছাড়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে তারল্য বাড়াতে প্রস্তাবিত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলটি কেবল শেয়ার বা ইকুইটি বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে। তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর হাতে। তবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবে একটি পেশাদার পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক দল। তহবিলের কার্যক্রম তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইসিবির প্রতিনিধি এবং স্বতন্ত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইকুইটি ভিত্তি শক্তিশালী করতে আইসিবির পরিশোধিত মূলধন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত সুদে মার্জিন ঋণ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
কর প্রণোদনার অংশ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা, ক্যাপিটাল গেইন করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজে ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিদ্যমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে কমিটি জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অংশ প্রায় ২০ শতাংশ। আগামী ১২ বছরে ধাপে ধাপে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য স্টক ডিলার, মার্কেট মেকার, পোর্টফোলিও ও অ্যাসেট ম্যানেজার বাড়ানো এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় মুনাফার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত নয়।
বাজার কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং আইপিওর পর প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের লেনদেন সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ঋণনির্ভরতা কমাতে ইকুইটি ক্যাপিটালের সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি নিয়ন্ত্রক সমন্বয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া করপোরেট সুশাসন জোরদার, বিএসইসি শক্তিশালীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম জানান, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলোই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ইকুইটি ফান্ড গঠনের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, কর ছাড়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে তারল্য বাড়াতে প্রস্তাবিত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলটি কেবল শেয়ার বা ইকুইটি বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে। তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর হাতে। তবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবে একটি পেশাদার পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক দল। তহবিলের কার্যক্রম তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইসিবির প্রতিনিধি এবং স্বতন্ত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইকুইটি ভিত্তি শক্তিশালী করতে আইসিবির পরিশোধিত মূলধন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত সুদে মার্জিন ঋণ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
কর প্রণোদনার অংশ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা, ক্যাপিটাল গেইন করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজে ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিদ্যমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে কমিটি জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অংশ প্রায় ২০ শতাংশ। আগামী ১২ বছরে ধাপে ধাপে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য স্টক ডিলার, মার্কেট মেকার, পোর্টফোলিও ও অ্যাসেট ম্যানেজার বাড়ানো এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় মুনাফার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত নয়।
বাজার কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং আইপিওর পর প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের লেনদেন সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ঋণনির্ভরতা কমাতে ইকুইটি ক্যাপিটালের সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি নিয়ন্ত্রক সমন্বয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া করপোরেট সুশাসন জোরদার, বিএসইসি শক্তিশালীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম জানান, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলোই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ইকুইটি ফান্ড গঠনের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, কর ছাড়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে তারল্য বাড়াতে প্রস্তাবিত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলটি কেবল শেয়ার বা ইকুইটি বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে। তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর হাতে। তবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবে একটি পেশাদার পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক দল। তহবিলের কার্যক্রম তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইসিবির প্রতিনিধি এবং স্বতন্ত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইকুইটি ভিত্তি শক্তিশালী করতে আইসিবির পরিশোধিত মূলধন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত সুদে মার্জিন ঋণ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
কর প্রণোদনার অংশ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা, ক্যাপিটাল গেইন করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজে ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিদ্যমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে কমিটি জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অংশ প্রায় ২০ শতাংশ। আগামী ১২ বছরে ধাপে ধাপে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য স্টক ডিলার, মার্কেট মেকার, পোর্টফোলিও ও অ্যাসেট ম্যানেজার বাড়ানো এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় মুনাফার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত নয়।
বাজার কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং আইপিওর পর প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের লেনদেন সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ঋণনির্ভরতা কমাতে ইকুইটি ক্যাপিটালের সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি নিয়ন্ত্রক সমন্বয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া করপোরেট সুশাসন জোরদার, বিএসইসি শক্তিশালীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম জানান, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলোই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ইকুইটি ফান্ড গঠনের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, কর ছাড়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে তারল্য বাড়াতে প্রস্তাবিত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলটি কেবল শেয়ার বা ইকুইটি বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে। তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর হাতে। তবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবে একটি পেশাদার পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক দল। তহবিলের কার্যক্রম তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইসিবির প্রতিনিধি এবং স্বতন্ত্র আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইকুইটি ভিত্তি শক্তিশালী করতে আইসিবির পরিশোধিত মূলধন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত সুদে মার্জিন ঋণ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
কর প্রণোদনার অংশ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা, ক্যাপিটাল গেইন করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজে ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিদ্যমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে কমিটি জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অংশ প্রায় ২০ শতাংশ। আগামী ১২ বছরে ধাপে ধাপে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য স্টক ডিলার, মার্কেট মেকার, পোর্টফোলিও ও অ্যাসেট ম্যানেজার বাড়ানো এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় মুনাফার চেয়ে বেশি হওয়া উচিত নয়।
বাজার কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং আইপিওর পর প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের লেনদেন সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ঋণনির্ভরতা কমাতে ইকুইটি ক্যাপিটালের সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি নিয়ন্ত্রক সমন্বয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া করপোরেট সুশাসন জোরদার, বিএসইসি শক্তিশালীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম জানান, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলোই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!