মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মতো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে কখনও কখনও এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভুলবশত শরীরের নিজস্ব কোষ ও অঙ্গকে আক্রমণ করে বসে-যার ফলেই দেখা দেয় অটোইমিউন রোগ। এই ভয়াবহ ত্রুটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজে বের করেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিজ্ঞানী-জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমন সাকাগুচি, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেরি ব্রাঙ্কো এবং সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফ্রেড রামসডেল।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার-‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিজের অঙ্গকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম করে। তাদের আবিষ্কৃত রেগুলেটরি টি-সেল (Regulatory T-cell) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ হিসেবে কাজ করে।
আবিষ্কারের পেছনের গল্প ১৯৮০-এর দশকেই গবেষকরা বুঝেছিলেন, টি-সেল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান কোষ। এটি ভাইরাস বা টিউমার কোষকে আক্রমণ করে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু নোবেলজয়ী সাকাগুচি এই কোষগুলোর মধ্যে বিশেষ ধরনের এক উপগোষ্ঠী শনাক্ত করেন, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখান-এই কোষ না থাকলে দেহ নিজের অঙ্গকে আক্রমণ করে ফেলে।
তিনি আবিষ্কার করেন, এই কোষগুলো CD25 নামের প্রোটিন বহন করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শান্ত রাখে। অপর দুই বিজ্ঞানী ব্রাঙ্কো ও রামসডেল আবিষ্কার করেন FOXP3 নামের জিন, যার ত্রুটির কারণেই দেখা দেয় বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ, যেমন টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভুল করে নিজস্ব অঙ্গকে ধ্বংস না করে-এটি নিশ্চিত করাই রেগুলেটরি টি-সেলের মূল ভূমিকা। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের চিকিৎসা গবেষণায় বিপ্লব আনতে পারে, বিশেষত-অটোইমিউন রোগের চিকিৎসা: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
ক্যানসার থেরাপি: প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে, তাতে সহায়ক হবে এই আবিষ্কার।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন: নতুন অঙ্গ যাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণ না করে, সেজন্য নিয়ন্ত্রক টি-সেল ব্যবহার করা যাবে।
ভবিষ্যৎ প্রয়োগ
গবেষকরা এখন রোগীদের শরীরে নিয়ন্ত্রক টি-সেলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারলিউকিন-২ সাইটোকাইন ব্যবহার করছেন। এছাড়া রোগীর শরীর থেকে এই কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবে বৃদ্ধি করে পুনরায় শরীরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কাজের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুলে গেছে এক নতুন দিগন্ত-যেখানে মানবদেহ নিজেই নিজের আরোগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে, আর ভবিষ্যতে হয়তো অটোইমিউন রোগের স্থায়ী চিকিৎসাও সম্ভব হবে।
মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মতো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে কখনও কখনও এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভুলবশত শরীরের নিজস্ব কোষ ও অঙ্গকে আক্রমণ করে বসে-যার ফলেই দেখা দেয় অটোইমিউন রোগ। এই ভয়াবহ ত্রুটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজে বের করেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিজ্ঞানী-জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমন সাকাগুচি, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেরি ব্রাঙ্কো এবং সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফ্রেড রামসডেল।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার-‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিজের অঙ্গকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম করে। তাদের আবিষ্কৃত রেগুলেটরি টি-সেল (Regulatory T-cell) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ হিসেবে কাজ করে।
আবিষ্কারের পেছনের গল্প ১৯৮০-এর দশকেই গবেষকরা বুঝেছিলেন, টি-সেল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান কোষ। এটি ভাইরাস বা টিউমার কোষকে আক্রমণ করে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু নোবেলজয়ী সাকাগুচি এই কোষগুলোর মধ্যে বিশেষ ধরনের এক উপগোষ্ঠী শনাক্ত করেন, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখান-এই কোষ না থাকলে দেহ নিজের অঙ্গকে আক্রমণ করে ফেলে।
তিনি আবিষ্কার করেন, এই কোষগুলো CD25 নামের প্রোটিন বহন করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শান্ত রাখে। অপর দুই বিজ্ঞানী ব্রাঙ্কো ও রামসডেল আবিষ্কার করেন FOXP3 নামের জিন, যার ত্রুটির কারণেই দেখা দেয় বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ, যেমন টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভুল করে নিজস্ব অঙ্গকে ধ্বংস না করে-এটি নিশ্চিত করাই রেগুলেটরি টি-সেলের মূল ভূমিকা। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের চিকিৎসা গবেষণায় বিপ্লব আনতে পারে, বিশেষত-অটোইমিউন রোগের চিকিৎসা: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
ক্যানসার থেরাপি: প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে, তাতে সহায়ক হবে এই আবিষ্কার।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন: নতুন অঙ্গ যাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণ না করে, সেজন্য নিয়ন্ত্রক টি-সেল ব্যবহার করা যাবে।
ভবিষ্যৎ প্রয়োগ
গবেষকরা এখন রোগীদের শরীরে নিয়ন্ত্রক টি-সেলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারলিউকিন-২ সাইটোকাইন ব্যবহার করছেন। এছাড়া রোগীর শরীর থেকে এই কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবে বৃদ্ধি করে পুনরায় শরীরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কাজের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুলে গেছে এক নতুন দিগন্ত-যেখানে মানবদেহ নিজেই নিজের আরোগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে, আর ভবিষ্যতে হয়তো অটোইমিউন রোগের স্থায়ী চিকিৎসাও সম্ভব হবে।
মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মতো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে কখনও কখনও এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভুলবশত শরীরের নিজস্ব কোষ ও অঙ্গকে আক্রমণ করে বসে-যার ফলেই দেখা দেয় অটোইমিউন রোগ। এই ভয়াবহ ত্রুটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজে বের করেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিজ্ঞানী-জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমন সাকাগুচি, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেরি ব্রাঙ্কো এবং সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফ্রেড রামসডেল।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার-‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিজের অঙ্গকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম করে। তাদের আবিষ্কৃত রেগুলেটরি টি-সেল (Regulatory T-cell) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ হিসেবে কাজ করে।
আবিষ্কারের পেছনের গল্প ১৯৮০-এর দশকেই গবেষকরা বুঝেছিলেন, টি-সেল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান কোষ। এটি ভাইরাস বা টিউমার কোষকে আক্রমণ করে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু নোবেলজয়ী সাকাগুচি এই কোষগুলোর মধ্যে বিশেষ ধরনের এক উপগোষ্ঠী শনাক্ত করেন, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখান-এই কোষ না থাকলে দেহ নিজের অঙ্গকে আক্রমণ করে ফেলে।
তিনি আবিষ্কার করেন, এই কোষগুলো CD25 নামের প্রোটিন বহন করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শান্ত রাখে। অপর দুই বিজ্ঞানী ব্রাঙ্কো ও রামসডেল আবিষ্কার করেন FOXP3 নামের জিন, যার ত্রুটির কারণেই দেখা দেয় বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ, যেমন টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভুল করে নিজস্ব অঙ্গকে ধ্বংস না করে-এটি নিশ্চিত করাই রেগুলেটরি টি-সেলের মূল ভূমিকা। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের চিকিৎসা গবেষণায় বিপ্লব আনতে পারে, বিশেষত-অটোইমিউন রোগের চিকিৎসা: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
ক্যানসার থেরাপি: প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে, তাতে সহায়ক হবে এই আবিষ্কার।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন: নতুন অঙ্গ যাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণ না করে, সেজন্য নিয়ন্ত্রক টি-সেল ব্যবহার করা যাবে।
ভবিষ্যৎ প্রয়োগ
গবেষকরা এখন রোগীদের শরীরে নিয়ন্ত্রক টি-সেলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারলিউকিন-২ সাইটোকাইন ব্যবহার করছেন। এছাড়া রোগীর শরীর থেকে এই কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবে বৃদ্ধি করে পুনরায় শরীরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কাজের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুলে গেছে এক নতুন দিগন্ত-যেখানে মানবদেহ নিজেই নিজের আরোগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে, আর ভবিষ্যতে হয়তো অটোইমিউন রোগের স্থায়ী চিকিৎসাও সম্ভব হবে।
মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মতো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে কখনও কখনও এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভুলবশত শরীরের নিজস্ব কোষ ও অঙ্গকে আক্রমণ করে বসে-যার ফলেই দেখা দেয় অটোইমিউন রোগ। এই ভয়াবহ ত্রুটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজে বের করেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন তিন বিজ্ঞানী-জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিমন সাকাগুচি, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেরি ব্রাঙ্কো এবং সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফ্রেড রামসডেল।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার-‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিজের অঙ্গকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম করে। তাদের আবিষ্কৃত রেগুলেটরি টি-সেল (Regulatory T-cell) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ হিসেবে কাজ করে।
আবিষ্কারের পেছনের গল্প ১৯৮০-এর দশকেই গবেষকরা বুঝেছিলেন, টি-সেল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান কোষ। এটি ভাইরাস বা টিউমার কোষকে আক্রমণ করে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু নোবেলজয়ী সাকাগুচি এই কোষগুলোর মধ্যে বিশেষ ধরনের এক উপগোষ্ঠী শনাক্ত করেন, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখান-এই কোষ না থাকলে দেহ নিজের অঙ্গকে আক্রমণ করে ফেলে।
তিনি আবিষ্কার করেন, এই কোষগুলো CD25 নামের প্রোটিন বহন করে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শান্ত রাখে। অপর দুই বিজ্ঞানী ব্রাঙ্কো ও রামসডেল আবিষ্কার করেন FOXP3 নামের জিন, যার ত্রুটির কারণেই দেখা দেয় বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ, যেমন টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভুল করে নিজস্ব অঙ্গকে ধ্বংস না করে-এটি নিশ্চিত করাই রেগুলেটরি টি-সেলের মূল ভূমিকা। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের চিকিৎসা গবেষণায় বিপ্লব আনতে পারে, বিশেষত-অটোইমিউন রোগের চিকিৎসা: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
ক্যানসার থেরাপি: প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে, তাতে সহায়ক হবে এই আবিষ্কার।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন: নতুন অঙ্গ যাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণ না করে, সেজন্য নিয়ন্ত্রক টি-সেল ব্যবহার করা যাবে।
ভবিষ্যৎ প্রয়োগ
গবেষকরা এখন রোগীদের শরীরে নিয়ন্ত্রক টি-সেলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইন্টারলিউকিন-২ সাইটোকাইন ব্যবহার করছেন। এছাড়া রোগীর শরীর থেকে এই কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবে বৃদ্ধি করে পুনরায় শরীরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কাজের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুলে গেছে এক নতুন দিগন্ত-যেখানে মানবদেহ নিজেই নিজের আরোগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে, আর ভবিষ্যতে হয়তো অটোইমিউন রোগের স্থায়ী চিকিৎসাও সম্ভব হবে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!