• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, ক্রেমলিনপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হার পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে একটি পোস্টে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

মেদভেদেভ বলেন, প্রচলিত যুদ্ধে একটি পারমাণবিক শক্তির পরাজয় একটি পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে এটাই স্বাভাবিক।

পুতিনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন এবং ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ বলেন, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো কখনো বড় ধরনের যুদ্ধ হারেনি। কারন পরমাণু অস্ত্রগুলোর ওপরেই তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।

তিনি আরো বলেন, সামরিক জোট এবং অন্যান্য পশ্চিমা প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করবেন, তাদের নীতির ঝুঁকি বিবেচনা করা উচিত।

ক্রেমলিন মেদভেদেভের মন্তব্যকে দ্রুত সমর্থন করে বলেছে, তার মন্তব্য সম্পূর্ণ মস্কোর নীতি অনুসারে ছিল। মস্কোর নীতি অনুসারে, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে প্রচলিত অস্ত্রে পাশপাশি পারমাণবিক হামলার অনুমতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে রাশিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।

তবে পুতিন শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটলে যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা বলেনি ওয়াশিংটন।

যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রথম করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৪৫ সালে তারা জাপানি দুই শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আনবিক বোমার তাণ্ডব দেখায়।

৫৭ বছর বয়সী মেদভেদেভকে একসময় পশ্চিমা গণমাধ্যম সংস্কারপন্থি হিসেবে দেখাত; রুশ এ রাজনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে কাজ করতে এবং রাশিয়ার উদারীকরণে আগ্রহী বলেও বারবার বলেছিল তারা। অবশ্য এখন তাকে পুতিনের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবাজ হিসেবেই দেখা যাচ্ছে।

গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল রাশিয়া, এরপর থেকে বেশ কয়েকবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছেন মেদভেদেভ।

উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্রই এই দুই দেশের হাতে রয়েছে।

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস অনুসারে, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে ৫ হাজার ৯৭৭টি সক্রিয় পারমাণবিক বোমা রয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজার ৪২৮টি, চীনের ৩৫০টি, ফ্রান্সের ২৯০টি এবং যুক্তরাজ্যের ২২৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে ৷

সূত্র: আল-জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর