পাখি মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। মহাশূন্যে ওড়ার ক্ষমতা দিয়ে আল্লাহ তাদের সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি আকাশের শূন্যগর্ভে নিয়ন্ত্রণাধীন পাখিদের দেখে না? আল্লাহই তাদের স্থির রাখেন। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য।’ (সুরা নাহাল: ৭৯)
পাখিরাও মহান আল্লাহর জিকির করে। দলবদ্ধ হয়ে তাঁর তাসবিহ পাঠ করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি যে আসমান ও জমিনে যারা আছে তারা এবং সারিবদ্ধ হয়ে উড়ন্ত পাখিরা আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করে? প্রত্যেকেই তার সালাত ও তাসবিহ জানে। তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত।’ (সুরা নুর: ৪১)
পাখিদের খেতে দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি (ফলবান) গাছ লাগায় আর তা থেকে যা কিছু খাওয়া হবে তা তার জন্য সদকা, তা থেকে যা কিছু চুরি হবে তা তার জন্য সদকা, পাখি যা খাবে তাও তার জন্য সদকা এবং যে কেউ এর থেকে কিছু নেবে, তাও তার জন্য সদকা। অর্থাৎ সে দান-খয়রাতের সওয়াব পাবে।’ (বুখারি: ২৩২০)
শীতকালে আমাদের দেশে শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে দলে দলে পরিযায়ী পাখিরা আসে। দেশের খাল-বিল, হাওর, চর, হ্রদ ইত্যাদি এসব পাখির আগমনে মুখর থাকে। যদিও ইসলামে পাখি শিকার করা জায়েজ, তবে নির্ভরযোগ্য কারণ ছাড়া এদের নিশানা বানানো জায়েজ নেই। তা ছাড়া, দেশীয় আইনেও এটি নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহেতুক কোনো চড়ুই পাখি মেরে ফেলল, কিয়ামতের দিন পাখিটি আল্লাহর কাছে এই বলে নালিশ করবে, হে আল্লাহ, অমুক ব্যক্তি আমাকে অহেতুক হত্যা করেছে।’ (নাসায়ি: ৪৩৪৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক