ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ তুলে মামুন হাসান (২২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে মণিরামপুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মামুন হাসান মণিরামপুর উপজেলার খোজালিপুর এলাকার মশিয়ার গাজীর ছেলে। তিনি মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিহতের বাবা মশিয়ার গাজী ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার পর রাতেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন– মণিরামপুর উপজেলার খাজালিপুর গ্রামের মাহামুদ হোসেনের ছেলে মো. লাভলু (২৫), একই গ্রামের মিজানুর গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৩০) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন (১৯)।
নিহত মামুনের বাবা মশিয়ার গাজীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১টার দিকে মামুন বাড়ির পাশে তার খালা রেহেনা বেগমের দোকানে যায়। তখন বন্ধু আরমান তাকে ডেকে হরিহর নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে দল পাকিয়ে লোকজন এসে মামুনকে নদের পানিতে ফেলে মারধর করে। এরপর ওই গ্রামের আয়নালদের বাড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে আবারও মারধর করা হয়।
ভোর ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা মারধরের শিকার হয় মামুন। খবর পেয়ে তার মা সেখানে গিয়ে ছেলেকে মরণাপন্ন অবস্থায় দেখতে পান। তাকে জানানো হয়, তার ছেলে মোবাইল ফোন চুরি করেছে।
পর দিন বুধবার সকালে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকাল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ওই রাতে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।