ডেস্ক রিপোর্টঃ গত ৩০ দিনে খাল থেকে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আগামী বর্ষার আগে ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে হলে মার্চের মধ্যে অন্তত দুই লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করতে হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, এ কাজ দক্ষিণ সিটির জন্য খুবই কঠিন ও দুরূহ। এরপরও একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র তাপস।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামপুর খালসংলগ্ন বরইতলা মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র তাপস এসব কথা বলেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসা থেকে খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার দুদিন পর থেকে খাল ও বক্সকালভার্ট পরিষ্কারে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও খাল পরিষ্কারে কাজ করছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করছে দুই সিটি কর্পোরেশন।
শ্যামপুর খাল পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত ২ জানুয়ারি থেকে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন তারা। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যাতে সব খাল পরিষ্কার করা যায়, খাল হয়ে পানির প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
খালগুলো ঘিরে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, খালের পাশের জমি অবমুক্ত করে সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হেঁটে চলার পথ, সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র তাপস বলেন, খাল-বক্সকালভার্ট পরিষ্কারের কাজ শুধু আগামী বর্ষা পর্যন্ত তারা চালিয়ে যাবেন, বিষয়টি এমন না; তারা বার্ষিক পরিকল্পনা নিচ্ছেন, যাতে তা রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। যাতে তা পরবর্তী সময়ে বদ্ধ হয়ে না পড়ে।
প্রথম কাজ দুরূহ হলেও এ কাজ একবার করে ফেলতে পারলে ভবিষ্যতে তা সহজ হয়ে যাবে বলেও মনে করেন মেয়র তাপস।
খাল পরিদর্শনকালে মেয়র তাপসের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের প্রমুখ।