ডেস্ক রিপোর্ট: যত দিন যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।
একদিকে করোনা, অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আরেকটি ঐতিহাসিক দিন হতে চলছে।
ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকের নজিরবিহীন তাণ্ডবের পর সারা দেশে বিরাজ করছে সতর্কাবস্থা। আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নেবেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের নাশকতা যেন না ঘটে, তার জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে এফবিআই দেশটির অভ্যন্তরীণ সতর্কতা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে যেকোনো নাশকতা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহর, মহানগরে নেওয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।। ৬ দিন আগ থেকেই প্রস্তুত থাকবে সবকিছু। শপথ অনুষ্ঠানকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে ১৫ হাজার অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আরও ৩ হাজার নিরাপত্তা কর্মী নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিসি কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক থেকে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তার কাজে যোগ দেবেন।
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান হবে খুব ছোট পরিসরে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার সমর্থকদের ডিসিতে ভ্রমণ না করে বাড়িতে বসে অভিষেক অনুষ্ঠান দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ, প্যারেডও করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল করা হয়েছে।