
চুরি যাওয়া, নিবন্ধনবিহীনসহ সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর)’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এটি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চালু হচ্ছে। এই প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন হবে, ফলে সহজেই বোঝা যাবে কোনো সেট বৈধ না অবৈধ।
শুধু তাই নয়-এ প্রক্রিয়া চালুর পর নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম একসঙ্গে বিটিআরসির ট্র্যাকিং করাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বিটিআরসির বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য জানান। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়; এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জাতীয় অঙ্গীকার। এ উদ্যোগে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে এমএফএস জালিয়াতি, সিম প্রতারণা, স্ক্যাম কার্যকরভাবে রোধ হবে। ইকেওয়াইসি আরও শক্তিশালী হবে এবং রাজস্ব আদায় বাড়বে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানানা, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে থাকা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এতে সহজেই চিহ্নিত হবে কোন ফোন বৈধ এবং কোনটি অবৈধ। নির্দিষ্ট ফোনে নির্দিষ্ট সিমই ব্যবহার করা যাবে-সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখনও প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ শতাংশ ননস্মার্ট ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও বৈধ বাজার সুরক্ষায় এ উদ্যোগ সহায়ক হবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ করায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। নতুন সিস্টেম অবৈধ সেট শনাক্ত করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও জানান, চুরি যাওয়া বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ট্র্যাকিংয়েও এ প্রযুক্তি কার্যকর হবে। প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক থেকেই নির্দিষ্ট ফোন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। সিম নিবন্ধনেও কড়াকড়ি আনা হয়েছে-১ নভেম্বর থেকে এনআইডিপ্রতি ১০টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করা হবে। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এনইআইআর বিটিআরসি'র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো আমিনুল হক জানান, টাওয়ারের অধীনে হ্যান্ডসেটে যুক্ত সিমগুলো হোয়াইট, ব্লাক, গ্রে ও রোমিং ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত হবে। এনইআই চালু হওয়ার আগের সব সেট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সিমের বিপরীতে নিবন্ধিত হবে। এতে ক্লোন ও অবৈধ ফোনও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফোন কাউকে দেয়া হলে ডিরেজিস্ট্রেশন করা হবে। বিটিআরসির ওয়েব থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন-আইএমআই বৈধতা যাচাইয়ে ১৬০০২ এবং নিবন্ধনের জন্য ১৬১৬১ এ মেসেজ পাঠালে জানতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন, এমআইওবি প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শাহীদ, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব মহাসচিব মোঃ জুলফিকারসহ মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধি এবং বিটিআরসি’র কমিশনার ও মহাপরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

চুরি যাওয়া, নিবন্ধনবিহীনসহ সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর)’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এটি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চালু হচ্ছে। এই প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন হবে, ফলে সহজেই বোঝা যাবে কোনো সেট বৈধ না অবৈধ।
শুধু তাই নয়-এ প্রক্রিয়া চালুর পর নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম একসঙ্গে বিটিআরসির ট্র্যাকিং করাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বিটিআরসির বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য জানান। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়; এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জাতীয় অঙ্গীকার। এ উদ্যোগে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে এমএফএস জালিয়াতি, সিম প্রতারণা, স্ক্যাম কার্যকরভাবে রোধ হবে। ইকেওয়াইসি আরও শক্তিশালী হবে এবং রাজস্ব আদায় বাড়বে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানানা, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে থাকা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এতে সহজেই চিহ্নিত হবে কোন ফোন বৈধ এবং কোনটি অবৈধ। নির্দিষ্ট ফোনে নির্দিষ্ট সিমই ব্যবহার করা যাবে-সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখনও প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ শতাংশ ননস্মার্ট ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও বৈধ বাজার সুরক্ষায় এ উদ্যোগ সহায়ক হবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ করায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। নতুন সিস্টেম অবৈধ সেট শনাক্ত করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও জানান, চুরি যাওয়া বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ট্র্যাকিংয়েও এ প্রযুক্তি কার্যকর হবে। প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক থেকেই নির্দিষ্ট ফোন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। সিম নিবন্ধনেও কড়াকড়ি আনা হয়েছে-১ নভেম্বর থেকে এনআইডিপ্রতি ১০টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করা হবে। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এনইআইআর বিটিআরসি'র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো আমিনুল হক জানান, টাওয়ারের অধীনে হ্যান্ডসেটে যুক্ত সিমগুলো হোয়াইট, ব্লাক, গ্রে ও রোমিং ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত হবে। এনইআই চালু হওয়ার আগের সব সেট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সিমের বিপরীতে নিবন্ধিত হবে। এতে ক্লোন ও অবৈধ ফোনও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফোন কাউকে দেয়া হলে ডিরেজিস্ট্রেশন করা হবে। বিটিআরসির ওয়েব থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন-আইএমআই বৈধতা যাচাইয়ে ১৬০০২ এবং নিবন্ধনের জন্য ১৬১৬১ এ মেসেজ পাঠালে জানতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন, এমআইওবি প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শাহীদ, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব মহাসচিব মোঃ জুলফিকারসহ মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধি এবং বিটিআরসি’র কমিশনার ও মহাপরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

চুরি যাওয়া, নিবন্ধনবিহীনসহ সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর)’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এটি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চালু হচ্ছে। এই প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন হবে, ফলে সহজেই বোঝা যাবে কোনো সেট বৈধ না অবৈধ।
শুধু তাই নয়-এ প্রক্রিয়া চালুর পর নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম একসঙ্গে বিটিআরসির ট্র্যাকিং করাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বিটিআরসির বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য জানান। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়; এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জাতীয় অঙ্গীকার। এ উদ্যোগে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে এমএফএস জালিয়াতি, সিম প্রতারণা, স্ক্যাম কার্যকরভাবে রোধ হবে। ইকেওয়াইসি আরও শক্তিশালী হবে এবং রাজস্ব আদায় বাড়বে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানানা, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে থাকা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এতে সহজেই চিহ্নিত হবে কোন ফোন বৈধ এবং কোনটি অবৈধ। নির্দিষ্ট ফোনে নির্দিষ্ট সিমই ব্যবহার করা যাবে-সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখনও প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ শতাংশ ননস্মার্ট ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও বৈধ বাজার সুরক্ষায় এ উদ্যোগ সহায়ক হবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ করায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। নতুন সিস্টেম অবৈধ সেট শনাক্ত করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও জানান, চুরি যাওয়া বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ট্র্যাকিংয়েও এ প্রযুক্তি কার্যকর হবে। প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক থেকেই নির্দিষ্ট ফোন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। সিম নিবন্ধনেও কড়াকড়ি আনা হয়েছে-১ নভেম্বর থেকে এনআইডিপ্রতি ১০টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করা হবে। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এনইআইআর বিটিআরসি'র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো আমিনুল হক জানান, টাওয়ারের অধীনে হ্যান্ডসেটে যুক্ত সিমগুলো হোয়াইট, ব্লাক, গ্রে ও রোমিং ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত হবে। এনইআই চালু হওয়ার আগের সব সেট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সিমের বিপরীতে নিবন্ধিত হবে। এতে ক্লোন ও অবৈধ ফোনও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফোন কাউকে দেয়া হলে ডিরেজিস্ট্রেশন করা হবে। বিটিআরসির ওয়েব থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন-আইএমআই বৈধতা যাচাইয়ে ১৬০০২ এবং নিবন্ধনের জন্য ১৬১৬১ এ মেসেজ পাঠালে জানতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন, এমআইওবি প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শাহীদ, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব মহাসচিব মোঃ জুলফিকারসহ মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধি এবং বিটিআরসি’র কমিশনার ও মহাপরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

চুরি যাওয়া, নিবন্ধনবিহীনসহ সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর)’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এটি আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চালু হচ্ছে। এই প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন হবে, ফলে সহজেই বোঝা যাবে কোনো সেট বৈধ না অবৈধ।
শুধু তাই নয়-এ প্রক্রিয়া চালুর পর নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম একসঙ্গে বিটিআরসির ট্র্যাকিং করাও সম্ভব হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বিটিআরসির বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য জানান। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়; এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জাতীয় অঙ্গীকার। এ উদ্যোগে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে এমএফএস জালিয়াতি, সিম প্রতারণা, স্ক্যাম কার্যকরভাবে রোধ হবে। ইকেওয়াইসি আরও শক্তিশালী হবে এবং রাজস্ব আদায় বাড়বে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানানা, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে থাকা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এতে সহজেই চিহ্নিত হবে কোন ফোন বৈধ এবং কোনটি অবৈধ। নির্দিষ্ট ফোনে নির্দিষ্ট সিমই ব্যবহার করা যাবে-সিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখনও প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ শতাংশ ননস্মার্ট ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও বৈধ বাজার সুরক্ষায় এ উদ্যোগ সহায়ক হবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ করায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। নতুন সিস্টেম অবৈধ সেট শনাক্ত করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও জানান, চুরি যাওয়া বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ট্র্যাকিংয়েও এ প্রযুক্তি কার্যকর হবে। প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক থেকেই নির্দিষ্ট ফোন বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। সিম নিবন্ধনেও কড়াকড়ি আনা হয়েছে-১ নভেম্বর থেকে এনআইডিপ্রতি ১০টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করা হবে। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এনইআইআর বিটিআরসি'র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো আমিনুল হক জানান, টাওয়ারের অধীনে হ্যান্ডসেটে যুক্ত সিমগুলো হোয়াইট, ব্লাক, গ্রে ও রোমিং ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত হবে। এনইআই চালু হওয়ার আগের সব সেট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সিমের বিপরীতে নিবন্ধিত হবে। এতে ক্লোন ও অবৈধ ফোনও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফোন কাউকে দেয়া হলে ডিরেজিস্ট্রেশন করা হবে। বিটিআরসির ওয়েব থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন-আইএমআই বৈধতা যাচাইয়ে ১৬০০২ এবং নিবন্ধনের জন্য ১৬১৬১ এ মেসেজ পাঠালে জানতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন, এমআইওবি প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শাহীদ, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব মহাসচিব মোঃ জুলফিকারসহ মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধি এবং বিটিআরসি’র কমিশনার ও মহাপরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!