অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের মাধ্যমে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা ইউনিট এডব্লিউএস (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস) বড় বিভ্রাটের মুখে পড়ে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর এটা ফের স্বাভাবিক হয়।
এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম ইন্টারনেটের একটা সামান্য অংশকেই সেবা দিয়ে থাকে। তবে এটা কয়েক ঘণ্টা অচল থাকায় প্রমাণিত হয় যে, আধুনিক জীবন কতটা এই সেবা কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপ, বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে স্মার্ট হোম ডিভাইস ও গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা যায়নি।
যে কারণে এডব্লিউএস বন্ধ হয়ে যায়
সোমবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১১ মিনিট) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবায় বিভ্রাট শুরু হয়। এ সময় ক্লাউডের কিছু সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাংক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম, বিনোদন সেবাসহ অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার বাধাগ্রস্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত অ্যামাজনের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম ডেটা সেন্টারের কারিগরি ত্রুটি থেকে বিপর্যয় শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিপর্যয়ের মূলে ছিল ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের একটি প্রযুক্তিগত আপডেট। ডায়নামোডিবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড ডেটাবেজ সেবা, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের তথ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে।
ডায়নামোডিবির এপিআই আপডেটের সময় একটি ত্রুটি ডোমেইন নেম সিস্টেমকে (ডিএনএস) প্রভাবিত করে। ডিএনএস মূলত সঠিক ঠিকানা খুঁজে আইপি কম্পিউটারকে সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর তাই ডিএনএস সমস্যার কারণে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের আইপি ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিল না ও সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
ডায়নামোডিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এডব্লিউএস সেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর গ্রিনিচ মান সময় সকাল ১০টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিট) অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার সময়ও ওপেনএআই, ইএসপিএন ও অ্যাপল মিউজিকের মতো প্ল্যাটফর্মে সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের ত্রুটির বিষয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ বিভ্রাটের কারণে ২ হাজার ৫০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
এডব্লিউএসের বিভ্রাটের কারণে কেবল অ্যামাজন প্রভাবিত হয়নি, হাজার হাজার কোম্পানি, যারা স্টোরেজ, ডেটাবেজ বা ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য এডব্লিউএস ব্যবহার করে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপের কাজ বন্ধ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস, কোর্সেরা, প্রাইম ভিডিও, হুলু, স্ল্যাক, এক্সবক্স, সিগন্যাল, স্ন্যাপচ্যাট, লিফট, আইএমডিবি, আউটলুকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইথের প্রধান নির্বাহী ব্রাইসন বোর্ট বলেন, ‘যখনই আমরা এমন শিরোনাম দেখি, তখনই সবার মনে চিন্তা আসে সাইবার আক্রমণ হচ্ছে কি না? সামরিক বা গোয়েন্দারা কি বিঘ্নের সৃষ্টি করেছে? এবারের বিভ্রাট তেমন নয়। বেশির ভাগ সময়ই এমন হয় না। এটি সাধারণ মানবসৃষ্ট ত্রুটি।’
অ্যামাজন তাদের ত্রুটির কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের অবিলম্বে কাজে লাগানো হয়েছে। সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত বিকল্প পথে কাজ চলছে। কী ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করে একটি বিস্তারিত সারাংশ প্রকাশ করা হবে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের মাধ্যমে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা ইউনিট এডব্লিউএস (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস) বড় বিভ্রাটের মুখে পড়ে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর এটা ফের স্বাভাবিক হয়।
এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম ইন্টারনেটের একটা সামান্য অংশকেই সেবা দিয়ে থাকে। তবে এটা কয়েক ঘণ্টা অচল থাকায় প্রমাণিত হয় যে, আধুনিক জীবন কতটা এই সেবা কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপ, বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে স্মার্ট হোম ডিভাইস ও গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা যায়নি।
যে কারণে এডব্লিউএস বন্ধ হয়ে যায়
সোমবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১১ মিনিট) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবায় বিভ্রাট শুরু হয়। এ সময় ক্লাউডের কিছু সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাংক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম, বিনোদন সেবাসহ অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার বাধাগ্রস্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত অ্যামাজনের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম ডেটা সেন্টারের কারিগরি ত্রুটি থেকে বিপর্যয় শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিপর্যয়ের মূলে ছিল ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের একটি প্রযুক্তিগত আপডেট। ডায়নামোডিবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড ডেটাবেজ সেবা, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের তথ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে।
ডায়নামোডিবির এপিআই আপডেটের সময় একটি ত্রুটি ডোমেইন নেম সিস্টেমকে (ডিএনএস) প্রভাবিত করে। ডিএনএস মূলত সঠিক ঠিকানা খুঁজে আইপি কম্পিউটারকে সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর তাই ডিএনএস সমস্যার কারণে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের আইপি ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিল না ও সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
ডায়নামোডিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এডব্লিউএস সেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর গ্রিনিচ মান সময় সকাল ১০টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিট) অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার সময়ও ওপেনএআই, ইএসপিএন ও অ্যাপল মিউজিকের মতো প্ল্যাটফর্মে সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের ত্রুটির বিষয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ বিভ্রাটের কারণে ২ হাজার ৫০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
এডব্লিউএসের বিভ্রাটের কারণে কেবল অ্যামাজন প্রভাবিত হয়নি, হাজার হাজার কোম্পানি, যারা স্টোরেজ, ডেটাবেজ বা ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য এডব্লিউএস ব্যবহার করে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপের কাজ বন্ধ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস, কোর্সেরা, প্রাইম ভিডিও, হুলু, স্ল্যাক, এক্সবক্স, সিগন্যাল, স্ন্যাপচ্যাট, লিফট, আইএমডিবি, আউটলুকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইথের প্রধান নির্বাহী ব্রাইসন বোর্ট বলেন, ‘যখনই আমরা এমন শিরোনাম দেখি, তখনই সবার মনে চিন্তা আসে সাইবার আক্রমণ হচ্ছে কি না? সামরিক বা গোয়েন্দারা কি বিঘ্নের সৃষ্টি করেছে? এবারের বিভ্রাট তেমন নয়। বেশির ভাগ সময়ই এমন হয় না। এটি সাধারণ মানবসৃষ্ট ত্রুটি।’
অ্যামাজন তাদের ত্রুটির কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের অবিলম্বে কাজে লাগানো হয়েছে। সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত বিকল্প পথে কাজ চলছে। কী ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করে একটি বিস্তারিত সারাংশ প্রকাশ করা হবে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের মাধ্যমে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা ইউনিট এডব্লিউএস (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস) বড় বিভ্রাটের মুখে পড়ে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর এটা ফের স্বাভাবিক হয়।
এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম ইন্টারনেটের একটা সামান্য অংশকেই সেবা দিয়ে থাকে। তবে এটা কয়েক ঘণ্টা অচল থাকায় প্রমাণিত হয় যে, আধুনিক জীবন কতটা এই সেবা কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপ, বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে স্মার্ট হোম ডিভাইস ও গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা যায়নি।
যে কারণে এডব্লিউএস বন্ধ হয়ে যায়
সোমবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১১ মিনিট) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবায় বিভ্রাট শুরু হয়। এ সময় ক্লাউডের কিছু সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাংক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম, বিনোদন সেবাসহ অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার বাধাগ্রস্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত অ্যামাজনের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম ডেটা সেন্টারের কারিগরি ত্রুটি থেকে বিপর্যয় শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিপর্যয়ের মূলে ছিল ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের একটি প্রযুক্তিগত আপডেট। ডায়নামোডিবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড ডেটাবেজ সেবা, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের তথ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে।
ডায়নামোডিবির এপিআই আপডেটের সময় একটি ত্রুটি ডোমেইন নেম সিস্টেমকে (ডিএনএস) প্রভাবিত করে। ডিএনএস মূলত সঠিক ঠিকানা খুঁজে আইপি কম্পিউটারকে সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর তাই ডিএনএস সমস্যার কারণে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের আইপি ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিল না ও সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
ডায়নামোডিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এডব্লিউএস সেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর গ্রিনিচ মান সময় সকাল ১০টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিট) অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার সময়ও ওপেনএআই, ইএসপিএন ও অ্যাপল মিউজিকের মতো প্ল্যাটফর্মে সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের ত্রুটির বিষয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ বিভ্রাটের কারণে ২ হাজার ৫০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
এডব্লিউএসের বিভ্রাটের কারণে কেবল অ্যামাজন প্রভাবিত হয়নি, হাজার হাজার কোম্পানি, যারা স্টোরেজ, ডেটাবেজ বা ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য এডব্লিউএস ব্যবহার করে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপের কাজ বন্ধ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস, কোর্সেরা, প্রাইম ভিডিও, হুলু, স্ল্যাক, এক্সবক্স, সিগন্যাল, স্ন্যাপচ্যাট, লিফট, আইএমডিবি, আউটলুকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইথের প্রধান নির্বাহী ব্রাইসন বোর্ট বলেন, ‘যখনই আমরা এমন শিরোনাম দেখি, তখনই সবার মনে চিন্তা আসে সাইবার আক্রমণ হচ্ছে কি না? সামরিক বা গোয়েন্দারা কি বিঘ্নের সৃষ্টি করেছে? এবারের বিভ্রাট তেমন নয়। বেশির ভাগ সময়ই এমন হয় না। এটি সাধারণ মানবসৃষ্ট ত্রুটি।’
অ্যামাজন তাদের ত্রুটির কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের অবিলম্বে কাজে লাগানো হয়েছে। সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত বিকল্প পথে কাজ চলছে। কী ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করে একটি বিস্তারিত সারাংশ প্রকাশ করা হবে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের মাধ্যমে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা ইউনিট এডব্লিউএস (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস) বড় বিভ্রাটের মুখে পড়ে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর এটা ফের স্বাভাবিক হয়।
এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম ইন্টারনেটের একটা সামান্য অংশকেই সেবা দিয়ে থাকে। তবে এটা কয়েক ঘণ্টা অচল থাকায় প্রমাণিত হয় যে, আধুনিক জীবন কতটা এই সেবা কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। এডব্লিউএসের ক্লাউড সিস্টেম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপ, বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে স্মার্ট হোম ডিভাইস ও গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা যায়নি।
যে কারণে এডব্লিউএস বন্ধ হয়ে যায়
সোমবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১১ মিনিট) অ্যামাজনের ক্লাউড সেবায় বিভ্রাট শুরু হয়। এ সময় ক্লাউডের কিছু সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাংক, গেমিং প্ল্যাটফর্ম, বিনোদন সেবাসহ অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার বাধাগ্রস্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত অ্যামাজনের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম ডেটা সেন্টারের কারিগরি ত্রুটি থেকে বিপর্যয় শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিপর্যয়ের মূলে ছিল ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের একটি প্রযুক্তিগত আপডেট। ডায়নামোডিবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড ডেটাবেজ সেবা, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের তথ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে।
ডায়নামোডিবির এপিআই আপডেটের সময় একটি ত্রুটি ডোমেইন নেম সিস্টেমকে (ডিএনএস) প্রভাবিত করে। ডিএনএস মূলত সঠিক ঠিকানা খুঁজে আইপি কম্পিউটারকে সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর তাই ডিএনএস সমস্যার কারণে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডায়নামোডিবির এপিআইয়ের আইপি ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিল না ও সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
ডায়নামোডিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এডব্লিউএস সেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর গ্রিনিচ মান সময় সকাল ১০টা ১১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিট) অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার সময়ও ওপেনএআই, ইএসপিএন ও অ্যাপল মিউজিকের মতো প্ল্যাটফর্মে সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের ত্রুটির বিষয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ বিভ্রাটের কারণে ২ হাজার ৫০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
এডব্লিউএসের বিভ্রাটের কারণে কেবল অ্যামাজন প্রভাবিত হয়নি, হাজার হাজার কোম্পানি, যারা স্টোরেজ, ডেটাবেজ বা ওয়েব হোস্টিংয়ের জন্য এডব্লিউএস ব্যবহার করে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপের কাজ বন্ধ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস, কোর্সেরা, প্রাইম ভিডিও, হুলু, স্ল্যাক, এক্সবক্স, সিগন্যাল, স্ন্যাপচ্যাট, লিফট, আইএমডিবি, আউটলুকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইথের প্রধান নির্বাহী ব্রাইসন বোর্ট বলেন, ‘যখনই আমরা এমন শিরোনাম দেখি, তখনই সবার মনে চিন্তা আসে সাইবার আক্রমণ হচ্ছে কি না? সামরিক বা গোয়েন্দারা কি বিঘ্নের সৃষ্টি করেছে? এবারের বিভ্রাট তেমন নয়। বেশির ভাগ সময়ই এমন হয় না। এটি সাধারণ মানবসৃষ্ট ত্রুটি।’
অ্যামাজন তাদের ত্রুটির কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের অবিলম্বে কাজে লাগানো হয়েছে। সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত বিকল্প পথে কাজ চলছে। কী ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করে একটি বিস্তারিত সারাংশ প্রকাশ করা হবে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!