ইন্টারনেট সেবার নতুন গাইডলাইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সংগঠনটি বলেছে, বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য বাড়বে এবং দেশীয় উদ্যোক্তারা মারাত্মক সংকটে পড়বেন। ইন্টারনেট দাম অস্বাভিকভাবে বাড়লে দিনশেষে দায় পড়বে আইএসপিএবি’র উপরেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম।
সভায় মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘নতুন খসড়া গাইডলাইন অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর রেভিনিউ শেয়ারিং ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের ফলে ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম সরাসরি বেড়ে যাবে। এটি শুধু গ্রাহকদের ক্ষতি করবে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, গাইডলাইন সংস্কার করে সেবার খরচ কমানো হোক, যাতে ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী ও সবার জন্য সহজলভ্য থাকে। ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা জনগণের এবং ব্যবহারকারীদের পাশে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার সংযোগে খরচ ১০০ এবং এক হাজার টাকার সংযোগে খরচ বাড়বে ২০০ টাকা। টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যেতে পারেও বলেও জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান আইএসপিএবি সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সাত দফা দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১: সিএমএসপি (সেলুলার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার) গাইডলাইন থেকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) যেমন জিপিফাই, রবি-ওয়াইফাই, বাংলালিংক ওয়াইফাই প্রভৃতির অনুমতি বাতিল। নীতিমালা অনুযায়ী এই ফিচারগুলো শুধু এফটিএস-এর আওতায় থাকা উচিত । ২:ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয়মেন্ট: সিএমএসপি গাইডলাইন থেকে হোম/অফিস/ইনডোর প্রাঙ্গণে ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয় করার অনুমতি বাতিল। ৩: ওয়াইফাই/আইএসএম ব্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। ৪: অবকাঠামো শেয়ারিং সংক্রান্ত গাইডলাইন স্পষ্ট করার দাবি। ৫: এফটিএসপি রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড (এসওএফ) ১% বাতিল বা পুনর্বিবেচনা। ৬: আইপিটিএসপি এসএমএস সার্ভিস ও মোবাইল ডায়ালার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা। ৭: এফটিএসপি ও জেলা এফটিএসপি লাইসেন্সধারীদের মধ্যে বৈষম্য না রাখা।
সংগঠনটির মতে, মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার কানেক্টিভিটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হলে দেশীয় আইএসপিগুলোর জন্য মারাত্মক অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, এই নীতিমালা কেবল ব্যবসায়ীদের নয়, জনগণেরও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। জনগণের স্বার্থে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা ন্যায্যতার পক্ষে সচেতনভাবে দাঁড়াবে। এসময় আইএসপিএবি দেশের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট মহলকে গাইডলাইন সংস্কার আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১, যুগ্ম মহাসচিব–২ মাহবুব আলম ও ফুয়াদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ রাশেদুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠু হাওলাদার, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
ইন্টারনেট সেবার নতুন গাইডলাইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সংগঠনটি বলেছে, বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য বাড়বে এবং দেশীয় উদ্যোক্তারা মারাত্মক সংকটে পড়বেন। ইন্টারনেট দাম অস্বাভিকভাবে বাড়লে দিনশেষে দায় পড়বে আইএসপিএবি’র উপরেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম।
সভায় মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘নতুন খসড়া গাইডলাইন অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর রেভিনিউ শেয়ারিং ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের ফলে ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম সরাসরি বেড়ে যাবে। এটি শুধু গ্রাহকদের ক্ষতি করবে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, গাইডলাইন সংস্কার করে সেবার খরচ কমানো হোক, যাতে ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী ও সবার জন্য সহজলভ্য থাকে। ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা জনগণের এবং ব্যবহারকারীদের পাশে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার সংযোগে খরচ ১০০ এবং এক হাজার টাকার সংযোগে খরচ বাড়বে ২০০ টাকা। টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যেতে পারেও বলেও জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান আইএসপিএবি সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সাত দফা দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১: সিএমএসপি (সেলুলার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার) গাইডলাইন থেকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) যেমন জিপিফাই, রবি-ওয়াইফাই, বাংলালিংক ওয়াইফাই প্রভৃতির অনুমতি বাতিল। নীতিমালা অনুযায়ী এই ফিচারগুলো শুধু এফটিএস-এর আওতায় থাকা উচিত । ২:ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয়মেন্ট: সিএমএসপি গাইডলাইন থেকে হোম/অফিস/ইনডোর প্রাঙ্গণে ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয় করার অনুমতি বাতিল। ৩: ওয়াইফাই/আইএসএম ব্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। ৪: অবকাঠামো শেয়ারিং সংক্রান্ত গাইডলাইন স্পষ্ট করার দাবি। ৫: এফটিএসপি রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড (এসওএফ) ১% বাতিল বা পুনর্বিবেচনা। ৬: আইপিটিএসপি এসএমএস সার্ভিস ও মোবাইল ডায়ালার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা। ৭: এফটিএসপি ও জেলা এফটিএসপি লাইসেন্সধারীদের মধ্যে বৈষম্য না রাখা।
সংগঠনটির মতে, মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার কানেক্টিভিটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হলে দেশীয় আইএসপিগুলোর জন্য মারাত্মক অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, এই নীতিমালা কেবল ব্যবসায়ীদের নয়, জনগণেরও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। জনগণের স্বার্থে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা ন্যায্যতার পক্ষে সচেতনভাবে দাঁড়াবে। এসময় আইএসপিএবি দেশের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট মহলকে গাইডলাইন সংস্কার আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১, যুগ্ম মহাসচিব–২ মাহবুব আলম ও ফুয়াদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ রাশেদুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠু হাওলাদার, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
ইন্টারনেট সেবার নতুন গাইডলাইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সংগঠনটি বলেছে, বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য বাড়বে এবং দেশীয় উদ্যোক্তারা মারাত্মক সংকটে পড়বেন। ইন্টারনেট দাম অস্বাভিকভাবে বাড়লে দিনশেষে দায় পড়বে আইএসপিএবি’র উপরেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম।
সভায় মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘নতুন খসড়া গাইডলাইন অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর রেভিনিউ শেয়ারিং ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের ফলে ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম সরাসরি বেড়ে যাবে। এটি শুধু গ্রাহকদের ক্ষতি করবে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, গাইডলাইন সংস্কার করে সেবার খরচ কমানো হোক, যাতে ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী ও সবার জন্য সহজলভ্য থাকে। ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা জনগণের এবং ব্যবহারকারীদের পাশে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার সংযোগে খরচ ১০০ এবং এক হাজার টাকার সংযোগে খরচ বাড়বে ২০০ টাকা। টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যেতে পারেও বলেও জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান আইএসপিএবি সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সাত দফা দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১: সিএমএসপি (সেলুলার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার) গাইডলাইন থেকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) যেমন জিপিফাই, রবি-ওয়াইফাই, বাংলালিংক ওয়াইফাই প্রভৃতির অনুমতি বাতিল। নীতিমালা অনুযায়ী এই ফিচারগুলো শুধু এফটিএস-এর আওতায় থাকা উচিত । ২:ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয়মেন্ট: সিএমএসপি গাইডলাইন থেকে হোম/অফিস/ইনডোর প্রাঙ্গণে ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয় করার অনুমতি বাতিল। ৩: ওয়াইফাই/আইএসএম ব্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। ৪: অবকাঠামো শেয়ারিং সংক্রান্ত গাইডলাইন স্পষ্ট করার দাবি। ৫: এফটিএসপি রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড (এসওএফ) ১% বাতিল বা পুনর্বিবেচনা। ৬: আইপিটিএসপি এসএমএস সার্ভিস ও মোবাইল ডায়ালার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা। ৭: এফটিএসপি ও জেলা এফটিএসপি লাইসেন্সধারীদের মধ্যে বৈষম্য না রাখা।
সংগঠনটির মতে, মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার কানেক্টিভিটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হলে দেশীয় আইএসপিগুলোর জন্য মারাত্মক অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, এই নীতিমালা কেবল ব্যবসায়ীদের নয়, জনগণেরও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। জনগণের স্বার্থে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা ন্যায্যতার পক্ষে সচেতনভাবে দাঁড়াবে। এসময় আইএসপিএবি দেশের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট মহলকে গাইডলাইন সংস্কার আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১, যুগ্ম মহাসচিব–২ মাহবুব আলম ও ফুয়াদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ রাশেদুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠু হাওলাদার, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
ইন্টারনেট সেবার নতুন গাইডলাইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সংগঠনটি বলেছে, বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য বাড়বে এবং দেশীয় উদ্যোক্তারা মারাত্মক সংকটে পড়বেন। ইন্টারনেট দাম অস্বাভিকভাবে বাড়লে দিনশেষে দায় পড়বে আইএসপিএবি’র উপরেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম।
সভায় মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘নতুন খসড়া গাইডলাইন অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর রেভিনিউ শেয়ারিং ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের ফলে ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম সরাসরি বেড়ে যাবে। এটি শুধু গ্রাহকদের ক্ষতি করবে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, গাইডলাইন সংস্কার করে সেবার খরচ কমানো হোক, যাতে ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী ও সবার জন্য সহজলভ্য থাকে। ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা জনগণের এবং ব্যবহারকারীদের পাশে চাই।’
তিনি বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার সংযোগে খরচ ১০০ এবং এক হাজার টাকার সংযোগে খরচ বাড়বে ২০০ টাকা। টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যেতে পারেও বলেও জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান আইএসপিএবি সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সাত দফা দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১: সিএমএসপি (সেলুলার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার) গাইডলাইন থেকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) যেমন জিপিফাই, রবি-ওয়াইফাই, বাংলালিংক ওয়াইফাই প্রভৃতির অনুমতি বাতিল। নীতিমালা অনুযায়ী এই ফিচারগুলো শুধু এফটিএস-এর আওতায় থাকা উচিত । ২:ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয়মেন্ট: সিএমএসপি গাইডলাইন থেকে হোম/অফিস/ইনডোর প্রাঙ্গণে ফাইবার কানেক্টিভিটি ডেপ্লয় করার অনুমতি বাতিল। ৩: ওয়াইফাই/আইএসএম ব্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। ৪: অবকাঠামো শেয়ারিং সংক্রান্ত গাইডলাইন স্পষ্ট করার দাবি। ৫: এফটিএসপি রেভিনিউ শেয়ারিং ৫.৫% এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড (এসওএফ) ১% বাতিল বা পুনর্বিবেচনা। ৬: আইপিটিএসপি এসএমএস সার্ভিস ও মোবাইল ডায়ালার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা। ৭: এফটিএসপি ও জেলা এফটিএসপি লাইসেন্সধারীদের মধ্যে বৈষম্য না রাখা।
সংগঠনটির মতে, মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার কানেক্টিভিটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হলে দেশীয় আইএসপিগুলোর জন্য মারাত্মক অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, এই নীতিমালা কেবল ব্যবসায়ীদের নয়, জনগণেরও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। জনগণের স্বার্থে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা ন্যায্যতার পক্ষে সচেতনভাবে দাঁড়াবে। এসময় আইএসপিএবি দেশের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট মহলকে গাইডলাইন সংস্কার আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১, যুগ্ম মহাসচিব–২ মাহবুব আলম ও ফুয়াদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ রাশেদুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠু হাওলাদার, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!