দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পর্যটকদের কাছ থেকে এবার আদায় করা হবে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য নেওয়া হচ্ছে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একমাত্র দ্বীপ। এর পরিবেশ রক্ষায় তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শুরু হবে আগামী আগস্ট থেকে।’
সভায় জানানো হয়, পর্যটকদের কাছ থেকে আদায়কৃত পরিবেশ সংরক্ষণ ফি সংগ্রহ করবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এই অর্থ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার করা হবে। তবে কত টাকা ফি নির্ধারিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রাথমিকভাবে দ্বীপের ৫০০ পরিবারকে হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে দুইজন কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণাও দেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরের পর সেন্ট মার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সেন্ট মার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ প্রহরী নিয়োগ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ধান চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কেয়া বন ও সাগরলতা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সভায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এর পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এতে দ্বীপটিকে চারটি জোনে ভাগ করা হয় , জোন-১: মাল্টিপল ইউজ জোন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। জোন-২: সংবেদনশীল দক্ষিণাঞ্চল, যাকে বাফার জোন হিসেবে রক্ষা করা হবে। জোন-৩: শর্তসাপেক্ষে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের অনুমতি। জোন-৪: পুরোপুরি সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সব ধরনের প্রবেশ ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
সিইজিআইএস-এর গবেষক এইচ এম নুরুল ইসলাম জানান, ‘অতিরিক্ত পর্যটন, হোটেল নির্মাণ, এবং বিদেশি গাছের আগ্রাসনে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। কোরাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, লবস্টারও প্রায় হারিয়ে গেছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টেকনাফের ইউএনও।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পর্যটকদের কাছ থেকে এবার আদায় করা হবে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য নেওয়া হচ্ছে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একমাত্র দ্বীপ। এর পরিবেশ রক্ষায় তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শুরু হবে আগামী আগস্ট থেকে।’
সভায় জানানো হয়, পর্যটকদের কাছ থেকে আদায়কৃত পরিবেশ সংরক্ষণ ফি সংগ্রহ করবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এই অর্থ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার করা হবে। তবে কত টাকা ফি নির্ধারিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রাথমিকভাবে দ্বীপের ৫০০ পরিবারকে হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে দুইজন কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণাও দেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরের পর সেন্ট মার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সেন্ট মার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ প্রহরী নিয়োগ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ধান চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কেয়া বন ও সাগরলতা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সভায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এর পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এতে দ্বীপটিকে চারটি জোনে ভাগ করা হয় , জোন-১: মাল্টিপল ইউজ জোন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। জোন-২: সংবেদনশীল দক্ষিণাঞ্চল, যাকে বাফার জোন হিসেবে রক্ষা করা হবে। জোন-৩: শর্তসাপেক্ষে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের অনুমতি। জোন-৪: পুরোপুরি সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সব ধরনের প্রবেশ ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
সিইজিআইএস-এর গবেষক এইচ এম নুরুল ইসলাম জানান, ‘অতিরিক্ত পর্যটন, হোটেল নির্মাণ, এবং বিদেশি গাছের আগ্রাসনে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। কোরাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, লবস্টারও প্রায় হারিয়ে গেছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টেকনাফের ইউএনও।
০
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পর্যটকদের কাছ থেকে এবার আদায় করা হবে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য নেওয়া হচ্ছে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একমাত্র দ্বীপ। এর পরিবেশ রক্ষায় তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শুরু হবে আগামী আগস্ট থেকে।’
সভায় জানানো হয়, পর্যটকদের কাছ থেকে আদায়কৃত পরিবেশ সংরক্ষণ ফি সংগ্রহ করবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এই অর্থ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার করা হবে। তবে কত টাকা ফি নির্ধারিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রাথমিকভাবে দ্বীপের ৫০০ পরিবারকে হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে দুইজন কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণাও দেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরের পর সেন্ট মার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সেন্ট মার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ প্রহরী নিয়োগ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ধান চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কেয়া বন ও সাগরলতা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সভায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এর পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এতে দ্বীপটিকে চারটি জোনে ভাগ করা হয় , জোন-১: মাল্টিপল ইউজ জোন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। জোন-২: সংবেদনশীল দক্ষিণাঞ্চল, যাকে বাফার জোন হিসেবে রক্ষা করা হবে। জোন-৩: শর্তসাপেক্ষে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের অনুমতি। জোন-৪: পুরোপুরি সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সব ধরনের প্রবেশ ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
সিইজিআইএস-এর গবেষক এইচ এম নুরুল ইসলাম জানান, ‘অতিরিক্ত পর্যটন, হোটেল নির্মাণ, এবং বিদেশি গাছের আগ্রাসনে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। কোরাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, লবস্টারও প্রায় হারিয়ে গেছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টেকনাফের ইউএনও।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পর্যটকদের কাছ থেকে এবার আদায় করা হবে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য নেওয়া হচ্ছে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একমাত্র দ্বীপ। এর পরিবেশ রক্ষায় তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শুরু হবে আগামী আগস্ট থেকে।’
সভায় জানানো হয়, পর্যটকদের কাছ থেকে আদায়কৃত পরিবেশ সংরক্ষণ ফি সংগ্রহ করবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এই অর্থ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার করা হবে। তবে কত টাকা ফি নির্ধারিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রাথমিকভাবে দ্বীপের ৫০০ পরিবারকে হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে দুইজন কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণাও দেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরের পর সেন্ট মার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সেন্ট মার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ প্রহরী নিয়োগ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ধান চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কেয়া বন ও সাগরলতা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সভায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এর পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এতে দ্বীপটিকে চারটি জোনে ভাগ করা হয় , জোন-১: মাল্টিপল ইউজ জোন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। জোন-২: সংবেদনশীল দক্ষিণাঞ্চল, যাকে বাফার জোন হিসেবে রক্ষা করা হবে। জোন-৩: শর্তসাপেক্ষে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের অনুমতি। জোন-৪: পুরোপুরি সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সব ধরনের প্রবেশ ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
সিইজিআইএস-এর গবেষক এইচ এম নুরুল ইসলাম জানান, ‘অতিরিক্ত পর্যটন, হোটেল নির্মাণ, এবং বিদেশি গাছের আগ্রাসনে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। কোরাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, লবস্টারও প্রায় হারিয়ে গেছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টেকনাফের ইউএনও।