
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; সরকারের কাজ হওয়া উচিত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতারাং সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ অক্টোবর জাতির গৌরবের একটি দিন। এই দিন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎস্বর্গ করেছে। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই চব্বিশের বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদ আবার আসতে চাইলে আবারো লড়াই হবে; নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও বেশি ভালো হবে না।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধীতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েস মানেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপ দেওয়া। তিনি বলেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক কোনো নেতা বারবার ক্ষমতা চায় না। রবং তারা দায়িত্ব নিতে সাহস করে না। যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বুঝে। দড়ি বেঁধে এনে কেউ বিএনপিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদ পড়ে-বুঝেই সব দল স্বাক্ষর করেছে। বিএনপিও স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঈদের মতো উদযাপন করেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়া সম্ভব নয়। শহীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি হতে পারে না। তাই নভেম্বরেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতীতে অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, এখনো করবেন না-এটাই জাতির প্রত্যাশা। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস হবেন ‘জিরো’, আর বাস্তবায়ন হলে তিনি হবেন ‘হিরো’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ পেশিশক্তি ও অস্ত্র শক্তির বলে জনগণকে পরাজিত করে দেশকে হাইজাক করতে চেয়েছিল। সেই দিন গণতন্ত্র হাইজাক হয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা চব্বিশের ৫ আগস্ট হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। কিন্ত আমরা যদি রাষ্ট্র সংষ্কার করতে না পারি তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এতে করে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও আওয়ামী লীগের মতোই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। এজন্য ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে চায় না তারাও আওয়ামী লীগের মতো জনগণকে উপেক্ষা করে নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; সরকারের কাজ হওয়া উচিত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতারাং সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ অক্টোবর জাতির গৌরবের একটি দিন। এই দিন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎস্বর্গ করেছে। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই চব্বিশের বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদ আবার আসতে চাইলে আবারো লড়াই হবে; নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও বেশি ভালো হবে না।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধীতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েস মানেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপ দেওয়া। তিনি বলেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক কোনো নেতা বারবার ক্ষমতা চায় না। রবং তারা দায়িত্ব নিতে সাহস করে না। যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বুঝে। দড়ি বেঁধে এনে কেউ বিএনপিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদ পড়ে-বুঝেই সব দল স্বাক্ষর করেছে। বিএনপিও স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঈদের মতো উদযাপন করেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়া সম্ভব নয়। শহীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি হতে পারে না। তাই নভেম্বরেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতীতে অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, এখনো করবেন না-এটাই জাতির প্রত্যাশা। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস হবেন ‘জিরো’, আর বাস্তবায়ন হলে তিনি হবেন ‘হিরো’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ পেশিশক্তি ও অস্ত্র শক্তির বলে জনগণকে পরাজিত করে দেশকে হাইজাক করতে চেয়েছিল। সেই দিন গণতন্ত্র হাইজাক হয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা চব্বিশের ৫ আগস্ট হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। কিন্ত আমরা যদি রাষ্ট্র সংষ্কার করতে না পারি তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এতে করে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও আওয়ামী লীগের মতোই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। এজন্য ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে চায় না তারাও আওয়ামী লীগের মতো জনগণকে উপেক্ষা করে নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; সরকারের কাজ হওয়া উচিত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতারাং সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ অক্টোবর জাতির গৌরবের একটি দিন। এই দিন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎস্বর্গ করেছে। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই চব্বিশের বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদ আবার আসতে চাইলে আবারো লড়াই হবে; নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও বেশি ভালো হবে না।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধীতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েস মানেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপ দেওয়া। তিনি বলেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক কোনো নেতা বারবার ক্ষমতা চায় না। রবং তারা দায়িত্ব নিতে সাহস করে না। যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বুঝে। দড়ি বেঁধে এনে কেউ বিএনপিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদ পড়ে-বুঝেই সব দল স্বাক্ষর করেছে। বিএনপিও স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঈদের মতো উদযাপন করেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়া সম্ভব নয়। শহীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি হতে পারে না। তাই নভেম্বরেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতীতে অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, এখনো করবেন না-এটাই জাতির প্রত্যাশা। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস হবেন ‘জিরো’, আর বাস্তবায়ন হলে তিনি হবেন ‘হিরো’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ পেশিশক্তি ও অস্ত্র শক্তির বলে জনগণকে পরাজিত করে দেশকে হাইজাক করতে চেয়েছিল। সেই দিন গণতন্ত্র হাইজাক হয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা চব্বিশের ৫ আগস্ট হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। কিন্ত আমরা যদি রাষ্ট্র সংষ্কার করতে না পারি তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এতে করে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও আওয়ামী লীগের মতোই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। এজন্য ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে চায় না তারাও আওয়ামী লীগের মতো জনগণকে উপেক্ষা করে নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়; সরকারের কাজ হওয়া উচিত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতারাং সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ অক্টোবর জাতির গৌরবের একটি দিন। এই দিন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎস্বর্গ করেছে। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই চব্বিশের বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদ আবার আসতে চাইলে আবারো লড়াই হবে; নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও বেশি ভালো হবে না।
ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধীতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েস মানেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপ দেওয়া। তিনি বলেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক কোনো নেতা বারবার ক্ষমতা চায় না। রবং তারা দায়িত্ব নিতে সাহস করে না। যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো ব্যক্তি দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, সেখানে বিএনপির আপত্তির উদ্দেশ্য জাতি বুঝে। দড়ি বেঁধে এনে কেউ বিএনপিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদ পড়ে-বুঝেই সব দল স্বাক্ষর করেছে। বিএনপিও স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঈদের মতো উদযাপন করেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়া সম্ভব নয়। শহীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি হতে পারে না। তাই নভেম্বরেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতীতে অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, এখনো করবেন না-এটাই জাতির প্রত্যাশা। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস হবেন ‘জিরো’, আর বাস্তবায়ন হলে তিনি হবেন ‘হিরো’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ পেশিশক্তি ও অস্ত্র শক্তির বলে জনগণকে পরাজিত করে দেশকে হাইজাক করতে চেয়েছিল। সেই দিন গণতন্ত্র হাইজাক হয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা চব্বিশের ৫ আগস্ট হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। কিন্ত আমরা যদি রাষ্ট্র সংষ্কার করতে না পারি তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এতে করে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও আওয়ামী লীগের মতোই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। এজন্য ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে চায় না তারাও আওয়ামী লীগের মতো জনগণকে উপেক্ষা করে নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!