ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতার ভিড় জমতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে জানাজাস্থলে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জানাজায় অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির মতো মানুষ হাজার বছরে একবার জন্ম নেয়। এমন একজন মানুষের জন্য দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করা সৌভাগ্যের। সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও আমরা প্রস্তুত। আমার ইচ্ছে ছিল, হাদি ভাই সুস্থ হয়ে ফিরলে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেব। সেই সুযোগ আর হলো না-এটাই আমার কষ্ট।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছিল। স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরাও মরদেহের সঙ্গে ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোসল করিয়ে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানাজার জন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে লাল-সবুজে মোড়ানো তাঁর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শরিফ ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ। হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন এবং পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শরিফ ওসমান হাদি এক সন্তানের জনক। পরিবার, শিক্ষকতা ও জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়েই তাঁর জীবন আবর্তিত হতো।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতার ভিড় জমতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে জানাজাস্থলে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জানাজায় অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির মতো মানুষ হাজার বছরে একবার জন্ম নেয়। এমন একজন মানুষের জন্য দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করা সৌভাগ্যের। সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও আমরা প্রস্তুত। আমার ইচ্ছে ছিল, হাদি ভাই সুস্থ হয়ে ফিরলে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেব। সেই সুযোগ আর হলো না-এটাই আমার কষ্ট।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছিল। স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরাও মরদেহের সঙ্গে ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোসল করিয়ে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানাজার জন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে লাল-সবুজে মোড়ানো তাঁর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শরিফ ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ। হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন এবং পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শরিফ ওসমান হাদি এক সন্তানের জনক। পরিবার, শিক্ষকতা ও জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়েই তাঁর জীবন আবর্তিত হতো।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতার ভিড় জমতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে জানাজাস্থলে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জানাজায় অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির মতো মানুষ হাজার বছরে একবার জন্ম নেয়। এমন একজন মানুষের জন্য দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করা সৌভাগ্যের। সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও আমরা প্রস্তুত। আমার ইচ্ছে ছিল, হাদি ভাই সুস্থ হয়ে ফিরলে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেব। সেই সুযোগ আর হলো না-এটাই আমার কষ্ট।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছিল। স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরাও মরদেহের সঙ্গে ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোসল করিয়ে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানাজার জন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে লাল-সবুজে মোড়ানো তাঁর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শরিফ ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ। হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন এবং পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শরিফ ওসমান হাদি এক সন্তানের জনক। পরিবার, শিক্ষকতা ও জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়েই তাঁর জীবন আবর্তিত হতো।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতার ভিড় জমতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে জানাজাস্থলে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জানাজায় অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির মতো মানুষ হাজার বছরে একবার জন্ম নেয়। এমন একজন মানুষের জন্য দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করা সৌভাগ্যের। সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও আমরা প্রস্তুত। আমার ইচ্ছে ছিল, হাদি ভাই সুস্থ হয়ে ফিরলে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেব। সেই সুযোগ আর হলো না-এটাই আমার কষ্ট।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছিল। স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরাও মরদেহের সঙ্গে ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গোসল করিয়ে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানাজার জন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে লাল-সবুজে মোড়ানো তাঁর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শরিফ ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ। হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন এবং পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শরিফ ওসমান হাদি এক সন্তানের জনক। পরিবার, শিক্ষকতা ও জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়েই তাঁর জীবন আবর্তিত হতো।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!