পেঁয়াজ-তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি, চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের ঘাড়ে

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। একই সঙ্গে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ১৪ টাকা বেড়েছে। বাজারে চালের দাম আগেই ছিল চড়া। এতে করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের সংসার খরচ বেড়ে গেছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

রামপুরা বাজারের বিক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৮ টাকায়। খুচরায় যা ৬০-৬৫ টাকা। অথচ ঈদের আগেও তা ছিল ৪৫-৫০ টাকার মধ্যে।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে বোতলজাত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১৪ ও ১২ টাকা করে। নতুন দামে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে লাগছে ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলও লিটারে ১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৯ টাকায়।

হাজীপাড়া বাজারে আসা ক্রেতা এক্তাদুল চৌধুরী বলেন, শুধু পেঁয়াজ আর তেলেই বাড়তি প্রায় ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এটা বিশাল চাপ।

তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে মুরগি ও গরুর মাংসের বাজারে। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০-২৩০ টাকায়, এখন তা নেমে এসেছে ১৭০-১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগিও ৩০০-৩৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকা। গরুর মাংসের দামও কেজিতে ৫০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।

এদিকে, ডিমের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এক মাস ধরে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *