গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা অব্যাহত, প্রাণহানি ছাড়াল ৫১ হাজার

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপদ বলে সেখানে এখন আর কোনো স্থান অবশিষ্ট নেই। একদিকে চলছে বেপরোয়া বিমান ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে বন্ধ রয়েছে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ। বোমা ও গুলির আঘাতে প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের প্রাণ ঝরছে, সেই সঙ্গে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসার ঘাটতিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বুধবার (১৬ এপ্রিল) জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন দফার আগ্রাসনে গত ২৯ দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩০ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন।

তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, প্রকৃতপক্ষে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত ধরে হিসাব করা হয়েছে।

এদিকে হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, মার্কিন-ইসরায়েলি সেনা এডান আলেকজান্ডারকে পাহারায় রাখা তাদের ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকাতেই ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা শুরু করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে টানা ১৫ মাস চলা হামলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভূখণ্ডটির অন্তত ৬০ শতাংশ অবকাঠামো আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *