পহেলা বৈশাখের পোশাক কেমন হবে?

নববর্ষ মানেই নতুন রঙে, নতুন সাজে নিজেকে প্রকাশ করার দিন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সামনে, আর পহেলা বৈশাখে কী পরবেন—এই নিয়ে ভাবছেন অনেকেই। উৎসবের আমেজের সঙ্গে মানিয়ে এমন কিছু পরা দরকার যা হবে আরামদায়ক, ট্রেন্ডি এবং ঐতিহ্যবাহী।

এদিনে পোশাক নির্বাচন শুধু ফ্যাশন নয়, এটি হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানার প্রতীক। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক পহেলা বৈশাখে কোন ধরনের পোশাক পরবেন, কেমন সাজবেন।

নারীদের জন্য: ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় রঙিন সাজ

সাদা-লাল শাড়ি: এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈশাখী পোশাক। পটচিত্র, ব্লক প্রিন্ট কিংবা হাতের কাজের সাদা শাড়ির সঙ্গে লাল পাড় বা ব্লাউজ—পহেলা বৈশাখের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

জামদানি ও কাতান: যারা একটু ঘটা করে সাজতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন রঙিন জামদানি বা হালকা কাজের কাতান। বর্তমানে জামদানিতে মিলছে মডার্ন ডিজাইন ও প্যাস্টেল রঙের কম্বিনেশন।
সালোয়ার কামিজ ও কুর্তি: আরামের কথা মাথায় রেখে হালকা কটনের সালোয়ার কামিজ বা লং কুর্তিও দারুণ জনপ্রিয়। গরমের দিনে এটাই সবচেয়ে প্র্যাকটিক্যাল পছন্দ।
আনুষাঙ্গিক: পোশাকের সঙ্গে মানানসই খোঁপা, গাজরা, চুড়ি, টিপ, কাঁথা বা হাতে তৈরি পুঁতির গয়না বাঙালিয়ানাকে আরও রঙিন করে তোলে।

পুরুষদের জন্য: সহজ-সাজা বাঙালি স্টাইল

পাঞ্জাবি ও ফতুয়া: সাদা বা লাল পাঞ্জাবি এখনও বৈশাখের ক্ল্যাসিক পছন্দ। কটন, লিনেন কিংবা খান কাপড়ের হালকা কাজের পাঞ্জাবি গরমে আরামদায়ক ও ট্রেন্ডি।

লাল-সাদা গামছা ও পায়জামা: পাঞ্জাবির সঙ্গে দেশীয় গামছা আর সাদা পায়জামা বা ধুতি পরে রীতিমতো এক ঐতিহ্যবাহী লুক তৈরি হয়। অনেকেই বর্তমানে জিন্সের সঙ্গে ফিউশন করেও পরছেন পাঞ্জাবি।
ফতুয়া ও জিন্স/প্যান্ট: তরুণদের মধ্যে ফতুয়া বা কুর্তা স্টাইলে কটনের ফ্যাশনেবল পোশাক চলছে। সঙ্গে ক্যাজুয়াল জিন্স, লুঙ্গির ধাঁচে লুঙ্গি-স্টাইল প্যান্টও দেখা যাচ্ছে ট্রেন্ডে।

শিশুদের জন্য রঙিন ও আরামদায়ক পোশাক

বাচ্চাদের জন্য হালকা কটনের পোশাক সেরা। ছোটদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে লাল-সাদা থিমের শাড়ি, ফ্রক, পাঞ্জাবি ও ধুতি স্টাইলের জামা। বেশি গরমে পোশাক যেন ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক হয়, সেটা মাথায় রাখা জরুরি।

পহেলা বৈশাখে পোশাক শুধু সাজ নয়, এটি সংস্কৃতি বহনের মাধ্যম। তাই এমন কিছু পরুন যা আপনাকে তুলে ধরে বাঙালি হিসেবে, আবার গরমের মধ্যেও রাখে স্বস্তিতে। ঐতিহ্য, স্বাচ্ছন্দ্য আর স্টাইল—এই তিনের সমন্বয়েই হোক এবারের বৈশাখ উদযাপন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *