সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর শরীরে শক্তি ফেরানোর জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়।মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস হলো রমজান। এই সময় মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পানাহার থেকে দূরে থাকেন। সারাদিন পানাহার থেকে দূরে থাকার পর শরীরে শক্তি ফেরানোর জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এসময় রোজা রাখতে হলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা আবশ্যকীয়। গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেরই মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দিতে পারে। এটি সহজে কমতে চায় না। নানা ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও বিশেষ লাভ হয় না। সেই সময় অনেকেই চা, কফি খান। তাতে কেউ সুফল পান, কেউ পান না। চিকিৎসকদের মতে, মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে খুব বেশি ঠাণ্ডা বা গরম খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে যদি কারও মাইগ্রেন থেকে থাকে, তা হলে প্রতিদিন ইফতারের সময় কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেতে পারেন।
তরমুজ
শরীরে পানির ঘাটতি আটকাতে পারলেই মাইগ্রেনের সমস্যা খানিকটা রুখে দেওয়া যায়। তাই ইফতারে পানি খাওয়ার পাশাপাশি, পানি সমৃদ্ধ ফলও খেতে হবে। তরমুজে পানির পরিমাণ ৯২%। এই ফল শরীরে পানির সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বাদাম-বীজ
শরীরে পানির ঘাটতির পাশাপাশি, ম্যাগনেশিয়ামের অভাব থাকলেও মাইগ্রেন শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে দূরে থাকতে তাই প্রতিদিন ইফাতারের পর নানা রকমের বাদাম খেতে পারেন। ফ্ল্যাক্সসিডস, চিয়া সিডস, কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
ভেষজ চা
শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভেষজ চায়েরও অনেক গুণ। “ইন্টারন্যাশন্যাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, পিপারমিন্ট-টি খাওয়া সাইনাসের জন্য উপকারী। এতে মাইগ্রেনও কমে। তাই ইফতারের পর রাতের খাবার খাওয়ার পূর্বে এক কাপ ভেষজ চা পান করলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমতে পারে।