দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে। এই আদেশের আওতায় আসা ব্যক্তি গুলোর মধ্যে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক রয়েছেন।
দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর বা হস্তান্তরের চেষ্টা করা হতে পারে, তাই তাদের এসব সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন বা স্থানান্তর করতে না পারার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, আদালত শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে ধানমন্ডির সুধা সদনসহ বিভিন্ন জমি এবং আবাসিক ভবন রয়েছে।
আবেদনে দুদক জানায়, শেখ হাসিনা এবং অন্যরা যেকোনো সময় এই অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের এটি করা থেকে বিরত রাখতে একটি আদেশ প্রয়োজন।
এসব অ্যাকাউন্টে ৫৭৭ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা জমা আছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আবেদনে দুদক জানায়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায়— অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তার ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক, রাদওয়াদ মুজিব সিদ্দিক ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে জয় ও পুতুলের নামে থাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৬ কাঠা জমিসহ ‘সুধা সদন’ ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লে আউট প্ল্যানের ০.২৬৪০ একর ভূমিতে যাবতীয় ইমারতাদি।
শেখ রেহানার নামে থাকা গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ইউনিয়নের দুইটি দলিলে ৯.৬০ শতাংশ জমি ও ঢাকার সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলায় ফ্ল্যাট। টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশান আবাসিক এলাকায় ইস্টার্ন হারমনি ভবনে একটি ফ্ল্যাট ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে গুলশানের নিকেতন এলাকায় এ ব্লকে ০২০১.১ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত ৭ তলা ভবন রয়েছে।
এমতাবস্থায়, অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে জব্দ করা প্রয়োজন।