পিরোজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমানকে ওএসডি (অফিসে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি) করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে। তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন পদে যোগদান করেছিলেন।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে কেনাকাটায় দুর্নীতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠার পর জেলা দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেন। ২৭ জানুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি দুদক অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, পিরোজপুর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, সাউথ বাংলা কর্পোরেশন নামে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার ঔষধ ও এমএসআর পণ্য সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেওয়ার পরেও এসব পণ্য সরবরাহ না করেই বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
এই জালিয়াতি ও দুর্নীতির ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার আসামিদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনী) ডা. ফারহানা রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা, হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. আলামীন গাজী, এবং ওষুধ সরবরাহকারী এসএম সামসুল আরেফীন, মো. হানিফুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।