গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রবিবারের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়েন। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থান নিয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বিকেলে তাদের সঙ্গে যোগ দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। তাদের মধ্যে ছিলেন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান জানান, হামলার ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় খবর দেওয়ার পরেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাটের খবর পেয়ে ছাত্ররা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কাশেম নামের একজনকে হাসপাতালে নিবিঘ্ন পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।