• মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আ. লীগ-ছাত্রলীগের নামে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা নাহিদ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা: আগামী ছয় মাসে বাড়ছে না সুদের হার আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্যের প্রথম বৈঠক ভোজ্যতেলের সংকট অল্প দিনের মধ্যেই কেটে যাবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা আমরা অবিচারে যাব না, সুবিচার নিশ্চিত করবো: প্রধান উপদেষ্টা নর্থ সাউথে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘টেক ফেস্ট’, পৃষ্ঠপোষকতায় গিগাবাইট যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে : জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঢাকার সড়কে হঠাৎ উধাও কাউন্টারভিত্তিক বাস, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে দেশে প্রথম আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি মোবাইল নিয়ে এলো ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ এনআইডির তথ্য ফাঁস: পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

টানা চার মাসে রপ্তানি আয় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। টানা চার মাস ধরে ৪ বিলিয়ন মানে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে ৪৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার পণ্য রপ্তানি আয়ের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাস জুলাই-জানুয়ারিতে দেশ থেকে মোট ২ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে; কিন্তু রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি যেহেতু তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে, সেহেতু এই খাতের রপ্তানির ওপরই নির্ভর করে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি। এই খাতে জানুয়ারি মাসের রপ্তানিতে ৫ দশমিক ৫৭ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিও এর কাছাকাছিই রয়েছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে গত জুলাই ও আগস্টে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছিল। সেপ্টেম্বরে অবশ্য ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়; রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৮৬ কোটি ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে ৪১৩ ও ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। তার মধ্যে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অক্টোবরে ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও নভেম্বরে সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। আর ডিসেম্বরে ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৬৬ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এদিকে রপ্তানিতে আবার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে চলে এসেছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া শুধু জানুয়ারিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে পৌনে ৫ শতাংশ কম।

জানুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫.৭০ শতাংশ

সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত জানুয়ারি মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এছাড়া প্লাস্টিক পণ্যে ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ, চামড়ায় ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ, প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্যে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, হিমায়িত পণ্যে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর পাটজাত পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর