দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, সরকার ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে এর প্রভাব দেখা যেতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা স্বীকার করছি যে মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কাজ করছে। আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব উদ্যোগ কার্যকর হলে আগামী জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে মাসভিত্তিক সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা গত জুলাই মাসে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে পৌঁছেছিল।
সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।