বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গভর্নরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুদক মনে করছে, এসব লকারে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদ থাকতে পারে। এর আগে, ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর লকার তল্লাশি করে দুদক। সেখানে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১ কেজির বেশি স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। এসব সম্পদের উল্লেখ তার আয়কর রিটার্নে ছিল না।
চিঠিতে বলা হয়, অনুসন্ধান চলাকালে ব্যাংকের রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও কিছু কর্মকর্তা সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। দুদকের ধারণা, এসব লকারেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে।
৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টার এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা লকারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার বিষয়ে সম্মতি দেন। ফলে এখন থেকে লকার মালিকরা কোনো সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিতে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেছে দুদক। অনুমতি মিললে লকার খুলে সম্পদের তালিকা প্রণয়ন ও তদন্তের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করবে দুদক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল সম্পদ থাকার সন্দেহে অনুসন্ধান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।
দুদক জানায়, ২৬ জানুয়ারি সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর লকার তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ ও এফডিআর পাওয়া গেছে, যা তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ ছিল না। এর পরই দুদক জানতে পারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও কর্মকর্তারা সিলগালা করা সেফ ডিপোজিট ব্যবহার করছেন।
৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার এক বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয়। এরপর অর্থ উপদেষ্টা এসব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার বিষয়ে সম্মতি দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গভর্নরকে পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। এখন থেকে লকার মালিকরা কোনো ধরনের অর্থ বা সম্পদ সরাতে পারবেন না।
দুদক আদালতে আবেদন করে এসব লকার খুলে সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।