যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে তিনি এ আদেশে স্বাক্ষর করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মাদক ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করতেই এই শুল্ক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে সিএনএন জানিয়েছে, নতুন শুল্কের ফলে অ্যাভোকাডোস, স্নিকার, গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চলছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই নীতি থেকে সরে এসে মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর এবং কানাডার বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ধরা হয়েছে ১০ শতাংশ।
এই আদেশের ফলে ‘ডি মিনিমিস’ নীতি বন্ধ হয়ে যাবে, যা ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিত। ছোট ব্যবসায়ীরা এবং চীনা প্রতিষ্ঠান শিন ও থেমু এ সুবিধা পেতো।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, শুল্ক আরোপের মূল লক্ষ্য ফেনটানেল ও অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধ। তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এসব দেশও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
কানাডার জ্বালানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা মার্কিন ক্রেতাদের ওপর বাড়তি অর্থের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই শুল্ক বাস্তবায়ন করতে ট্রাম্প জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, যা তাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করবে।