চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্স টানা আট ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল। সেসময় ধারণা করা হয়েছিল, গ্রুপপর্বে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেই শেষ করবে দলটি। কিন্তু শেষ চার ম্যাচে টানা পরাজয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও সেরা দুইয়ে থাকার বিষয়ে শঙ্কা তৈরি হয় রংপুরের জন্য। অন্যদিকে, চিটাগং কিংসের সামনে সুযোগ ছিল বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে চিটাগং। বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে সেরা দুইয়ে জায়গা নিশ্চিত করেছে তারা। এই জয়ের ফলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারলেও চিটাগংয়ের সামনে আরও একটি সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার। বিপরীতে, রংপুরকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ, যেখানে খুলনার বিপক্ষে হারলেই বিদায় নিতে হবে তাদের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংস ২০৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে দারুণ শুরু এনে দেন খাজা নাফি ও পারভেজ ইমন। পাওয়ার প্লেতে তারা দলকে ৫৫ রান এনে দেন।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি নাফি, ১৯ বলে ২২ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, ইমন ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এবং ৪১ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দেন গ্রাহাম ক্লার্ক, যিনি ২১ বলে ২৬ রান করেন। এরপর মিথুন দ্রুতই আউট হলেও হায়দার আলী (২৩ বলে অপরাজিত ৪২) এবং শামীম পাটোয়ারি (১২ বলে ৩০) শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন।
বরিশালের ব্যর্থ তাড়া
২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার তামিম ইকবালকে হারায় বরিশাল। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে ফেরেন তাওহীদ হৃদয় (১১ বলে ৯)। এরপর মুশফিকুর রহিম ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন।
বরিশালের ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন ডেভিড মালান। তিনি ৩৪ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, তবে আলিস ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে বরিশালের সম্ভাবনা কমে যায়। এরপর মোহাম্মদ নবি (০), রিশাদ হোসেন (১০ বলে ১১) ও জেমস ফুলার (১১ বলে ১৮) দ্রুত আউট হলে জয় থেকে দূরে সরে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে থামে বরিশাল, ২৪ রানে জয় পায় চিটাগং।
এই জয়ে দ্বিতীয়স্থান নিশ্চিত করল চিটাগং কিংস, অন্যদিকে রংপুরের কপাল পুড়ে এলিমিনেটরে নেমে গেল তারা। এখন দেখার বিষয়, রংপুর কি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে পারবে নাকি বিদায় নিতে হবে সেখান থেকেই।