দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবন্দি জীবন কাটানোর পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছিলেন বাবর। তবে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তির পথ সুগম হয়। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান বাবর। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
বাবরের মুক্তির পেছনে বড় ভূমিকা রাখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া মামলাগুলোর পুনর্বিচার। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর একে একে সব মামলায় আপিল শুনানি শেষে খালাস পান তিনি।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কারামুক্তির পর বাবরকে ঘিরে এলাকায় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে কৌতূহলী অনেকেই।