২০২৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। দেশটি এ সময় ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ৬১৩ দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে। আগের বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৪৩৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার। এটি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাসিক প্রবৃদ্ধি। তবে পুরো বছরের হিসাবে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম ছিল।
২০২৪ সালের শুরুতে রপ্তানিতে ধাক্কা খেলেও বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে গতি ফিরে আসে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়, যেখানে নভেম্বর মাসেই রেকর্ড ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
একই সময়ে ভারতের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তবে চীনের রপ্তানি ০ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আমদানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম ছিল।”
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বর্গমিটার সমপরিমাণ পোশাক ছিল। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ৭২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে ভারত ও ভিয়েতনাম রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তবে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান বজায় রাখার ইঙ্গিত দেয়।