বাংলা সাহিত্যের দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। কিছুক্ষণ আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।”
হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর, নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। তার বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার ছিলেন শিক্ষক, আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে লেখালেখি শুরু করলেও হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ “যে জলে আগুন জ্বলে” প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। এই বইটি তাকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর দীর্ঘ ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “কবিতা একাত্তর”। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার আরেকটি বই “বেদনাকে বলেছি কেঁদো না”।
তার লেখা বিখ্যাত কবিতা “নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়” থেকে লাইন, “এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,” উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে আজও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়ে আসছে।
কাব্য সাধনায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৩), যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), এবং নেত্রকোণা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন।
কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।