বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত পাপিয়া সারোয়ার আর নেই। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন স্বামী সারোয়ার আলম। তিনি জানান, মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। মৃত্যুর আগে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আরেকটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।
পাপিয়া সারোয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় থাকেন। তাদের মা’কে দেখতে আসার প্রস্তুতির সময়ই ঘটে এই শোকাবহ ঘটনা।
বরিশালে জন্ম নেওয়া পাপিয়া সারোয়ার সংগীতচর্চা শুরু করেন ছায়ানটে, ওয়াহিদুল হক, সঞ্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে। পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে তালিম নেওয়ার পর রবীন্দ্রসংগীতে উচ্চশিক্ষার জন্য শান্তিনিকেতনে যান এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাপিয়া সারোয়ার ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এর আগে তিনি ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ অর্জন করেন।
যদিও তিনি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন, তবু সাধারণ শ্রোতাদের মাঝে তাকে জনপ্রিয় করে তোলে তার গাওয়া গান ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’।
পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো।