ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিয়ে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ২৮২ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন। তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকাজে সরঞ্জাম ও জনবলের সংকটের কারণে অনেককে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার বাসিন্দারা এখন তীব্র খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।
গাজায় চলমান এই সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে, যখন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৪২ জনকে জিম্মি করে। এরপর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ বারবার এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ দুর্বল ও জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের হয়েছে।