সম্প্রতি ঘটিত কয়েকটি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায়, তাহলে কিছুই সম্ভব নয়।” তিনি বলেন- “আমি উদ্বিগ্ন, কারণ ধর্মকে কেন্দ্র করে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, কিন্তু তা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্মাদনা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “তিন মাসের মধ্যে আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, কিন্তু এমন চেহারা নিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন বাংলাদেশ চাই না।”
ফখরুল ইসলাম বলেন, “কেন এত ভয়াবহ অস্থিরতা? তিন মাসও যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় দাবি তুলছে, হত্যা, রক্তপাত হচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও চলছে। সমস্যাটা কোথায়? কতদিন বিভাজন নিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলতে হবে? বারবার বিভাজন এবং হিংসার কারণে দেশ পড়বে না তো?”
তিনি আরও বলেন, “আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কি বুঝি না? যদি বুঝতাম, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলতাম না।”
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি উসকানি দিচ্ছে, যারা বিভাজনের পথ তৈরি করছে। “এরা দেশের শত্রু না বন্ধু, তা বিচারের ভার জনগণের,” বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, “যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা এমন কথা বলবেন না যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এই সরকার কারো দয়ায় হয়নি, রক্তের ওপর হয়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটানো।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ, সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মেহেদী হাসান।