সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, জনগণের নিত্যপ্রয়োজন পূরণ না হলে কোনো সংস্কারই ফলপ্রসূ হবে না।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ভিন্নমতকে শত্রুতায় পরিণত করলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার স্বার্থে স্বৈরাচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবি জানান এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বৈরাচার আমলে চাকরি হারানো সাংবাদিকদের পুনর্বহালের আহ্বানও জানান।
তারেক রহমান আরও বলেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ছয়জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। পলাতক স্বৈরাচারের নির্দেশে কমপক্ষে ২ হাজারের বেশি ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একে অন্যের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।