• রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
বানারীপাড়ার চাখারে শামীম সাঈদীর তাফসির মাহফিল ১৯ জানুয়ারি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকার অনুদান অনুমোদন নিউমার্কেট এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত মেহের আফরোজ শাওন মাজার-দরগাহে হামলা প্রতিরোধে সরকার কঠোর, ৪০টি হামলায় গ্রেপ্তার ২৩ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ দলের উড়ন্ত সূচনা টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা কনকনে শীতের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এত ক্ষমতার মালিক তো দেশ ছেড়ে পালালেন কেন? জামায়াতের আমির

আবু সাঈদ হত্যা: আইজিপি-শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে রংপুর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই।

গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যু্বলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।

নিহত আবু সাঈদের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়। আবু সাঈদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

এর আগে এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তগণ বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/১১৮৬ সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এজহারে সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, নানা কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।

আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আমরা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এদিকে, এই মামলার এজহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার হলে রংপুর আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে। আবু সাঈদ হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে নাগরিক সমাজ।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর