রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হাজার হাজার সেনার প্রবেশের মধ্য দিয়ে যে স্থল অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, তা পাল্টে দিচ্ছে রণাঙ্গনের চিত্র। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের বেশ গভীরে চলে গেছেন ইউক্রেনের সেনারা। দেশটির সামরিক কমান্ডারদের জন্য এ এক সাহসী জুয়া, যারা তাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশের সঙ্গে লড়ছেন। এ লড়াইয়ে সফলতার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বৃহস্পতিবার দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কথা বলছেন এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাঁর সামরিক বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার প্রতিদিনকার চিত্র তুলে ধরছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ৭৪টি বসতির নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। ইতোমধ্যে এ অভিযানের এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়েছে। তথাপি এখনও স্পষ্ট নয়, আসলে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী।
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, রাশিয়ায় ইউক্রেনের অভিযান রণাঙ্গনের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। কিন্তু এটা ইউক্রেনের জন্য একটা দুর্বলতাও হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, তাদের এমনিতেই সেনাবাহিনীতে জনবলের ঘাটতি। তার ওপর এ ধরনের অভিযানে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্যের প্রয়োজন পড়তে পারে।
কুরস্ক অভিযানে ইউক্রেন বিভিন্ন ব্রিগেড থেকে সদস্য জড়ো করে পাঠিয়েছে। তাদের অনেককে নেওয়া হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতা দেখানো সেনাদের মধ্য থেকে। এ অভিযানের শুরুতে চার্লি নামে পরিচিত সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া ১৪তম রেজিমেন্ট অব আননেমড ড্রোনসের কমান্ডার বলেন, ‘এ অভিযানের জন্য কেবল আমাদের প্রস্তুতি ছিল। রুশদের এ নিয়ে কোনো প্রস্তুতিই ছিল না।’
অনেক বিশ্লেষকের প্রশ্ন, অভিযান পরিচালনার জন্য কুরস্ক কি সত্যিকার অর্থে সঠিক স্থান? অভিযানে ৫ থেকে ১২ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছেন।
সিএনএন জানায়, ইউক্রেনের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে কুরস্কে পরিখা খননের পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে বিপুল অর্থব্যয় করতে যাচ্ছে দেশটি। এ নিয়ে রাশিয়ার চাকরির পোর্টালগুলোতে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। পরিখা খননের জন্য গভীরতাভেদে ১ হাজার ৬০০ ডলার থেকে ৪ হাজার ডলার প্রস্তাব করা হয়েছে।