‘শিগগিরই বড় কিছু… ভারত’ গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এমন একটি পোস্ট করে নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ। এরপর এ নিয়ে পুরো ভারতে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। হিন্ডেনবার্গ আবার নতুন করে কী তথ্য জানাবে সেটি নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার।
কারণ গত বছরের ২৪ জানুয়ারি গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের প্রতারণা নিয়ে চাঞ্চল্যকর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ । সেখানে বলা হয়, দশককাল ধরে শেয়ার কারসাজি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বহু গুণ বাড়িয়ে এ গ্রুপ বিশাল সম্পদ গড়েছে। গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের কোম্পানির শেয়ার ৫০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে; সেই পতন দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। ওই দরপতনে কয়েক হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ খোয়ান গৌতম আদানি।
এবার এই আদানি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনই প্রকাশ করেছি সংস্থাটি। তাদের দাবি ভারতের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড’ (সেবি) আদানি গ্রুপের প্রতারণা নিয়ে স্বচ্ছ তদন্ত করেনি।
হিন্ডেনবার্গের দাবি,আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশিদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী বুচের। শুধু তা নয়, বাণিজ্যিক স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে একে অপরের সঙ্গে। হিন্ডেনবার্গের তথ্য বলছে, রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস কেটে যাওয়ার পরও আদানির মরিশাসের অফশোর কোম্পানিতে তাদের লেনদেনের ব্যাপারে সেবি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে মার্কিন এই সংস্থার দাবি, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়ো বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন যাদের সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। এই বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। ভারতে উপার্জিত অর্থের উপর করফাঁকি দিতে বিদেশে এই ধরণের সংস্থা খোলা হয়।