শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন শ্রম ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) ঢাকার শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক এম এ আউয়াল দণ্ড বাতিলের এ রায় ঘোষণা করেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ড বাতিল হওয়া অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
ড. ইউনূসসহ আসামিদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরে ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি (আজ) দিন ধার্য করা হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। পরে বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অন্যদের নাম জানানো হবে।