• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে সাতসকালে সংঘর্ষ, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪

বাগেরহাটে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত চত্বরের সামনের খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে মহসড়ক দখলে নেয় আন্দোলনে থাকা ছাত্র ও জনতা। তখন ক্ষিপ্ত আন্দোলনকারীরা ওই সড়কের পাশে থাকা স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় আস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলা সংঘর্ষে তিন সাংবাদিক, তিন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

আহত সংবাদকর্মীরা হলেন আবু তালেব, বাংলা টিভির বাগেরহাট প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ইমরান ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার শেখ সোহেল। ভিডিও চিত্র ধারণ করায় বাংলা টিভির বাগেরহাট প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ইমরানের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

পরে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মিছিল করতে দেখা যায়। মিছিল থেকে জামাত-শিবিরকে প্রতিহতের স্লোগান দেওয়া হয়। এদিকে রমাপাল উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লা এলাকায় মিছিল করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও দুই সংবাদকর্মী আহত হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২টি অফিসও ভাঙচুর করেন তারা।

রামপালে আহত সংবাদকর্মীরা হলেন, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি সবুর রানা ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার।

প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি সবুর রানা বলেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া ছবি তুলতে গেলে আন্দোলকারীরা আমার ক্যামেরা কেড়ে নেয়। সুজন মজুমদার ও আমাকে মারপিট করে তারা। তাদের হামলায় রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ ও ওসি তদন্ত বিধান বিশ্বাস আহত হন।

ওসি সোমেন দাশ বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তাদের ছোড়া ইট আমার হাত ও পায়ে লেগেছে।

বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার আব্দুল কাদের বলেন, জামাত-শিবিরের লোকজন দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শঙ্কর কুমার সাহা, বারুইপারা ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক জিলানী আহমেদ ও সদস্য হাসান শেখ আহত হন। দলের স্বার্থে জামাত-শিবিরকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মাঠে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এই নেতা।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। কেউ যদি এ ধরনের কিছু করে থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল ১০টার দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী ডিসি অফিসের সামনে সমবেত হয়। আমরা দ্রুত উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর