ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশুকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। গতকাল রোববার সকালে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার বসতঘর থেকে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতরা হলেন, সোহাগ মিয়া-(৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত বেগম-(২৫), কন্যা ফাহিমা আক্তার-(৪) ও সাদিয়া আক্তার-(২)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বিজয় পাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফিরেন।
রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ। রোববার সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাদের সবার লাশ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার লাশ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাতের লাশ ও অপর কন্যার লাশ খাটে পড়ে ছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বলেন, লাশগুলোর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের প্রাথমিক ধারনা পারিবারিক কলহের জের ধরেই সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা শেষে নিজে আত্মহত্যা করেছে।