দেরিতে ঘুমানো মানুষই বেশি বুদ্ধিমান; বলছে গবেষণা

আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ, মেকস আ ম্যান, হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ- এই কবিতা সবারই পড়া। সকাল সকাল উঠেই পড়তে বসে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সব অভিভাবকই। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, আর্লি রাইজাররা নন, বরং রাত-জাগারাই বেশি বুদ্ধিমান।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক আর্টিকেল দাবি করেছে, কগনিটিভ টেস্টের ফল রাত জাগাদেরই এগিয়ে রেখেছে সাফল্যে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও গবেষকদের একটি দল ইউকে বায়োব্যাংক ডাটা ব্যবহার করেছেন। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ২৬ হাজার মানুষের উপর। তারা কতক্ষণ ঘুমায়, কখন ঘুমাতে যায়, কতটা ভাল ঘুমায়, সবকিছুই নজরে রেখেছেন তারা।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা সকালে উঠে কাজ করতে বেশি উদ্যমী বোধ করেন কি না, নাকি সন্ধ্যা বেলায় কাজ করতে বেশি উৎসাহ পান। এই বিষয়টির সঙ্গে কগনিটিভ পরীক্ষার ফলের সামঞ্জস্য পেয়েছেন গবেষকরা। এখানে যারা সকাল সকাল উঠে কাজে উৎসাহ পান, তাদের বলা হয়েছে মর্নিং লার্ক‌, আর যারা রাতের দিকে কাজে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাদের বলা হয় নাইট ওল।

দেখা গেছে, পরীক্ষার বিভিন্ন স্তরে নাইট ওলরা হারিয়ে দিচ্ছেন মর্নিং লার্ক‌দের। আরও একটা বিষয় দেখেছেন গবেষকরা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের বয়স কম আর যাদের কোনও বাড়তি অসুস্থতা নেই, তারা ভাল ফল করেছেন। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে সার্জারি ও ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করছেন ডক্টর রাহা ওয়েস্ট।

তিনি জানান, যেসব প্রাপ্তবয়স্ক সন্ধ্যা বা রাতের দিকে বেশি অ্যাক্টিভ থাকেন বা উদ্যমী বোধ করেন, তারা ভোরে ওঠা মানুষদের থেকে কগনিটিভ পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত ভাল ফল করেন। তবে এমনটা নয় যে, সকাল সকাল উঠে কাজ করতে পছন্দ করেন যারা, তারা সবাই এই পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছেন। তবে এটা একটা প্রবণতা মাত্র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা রাতে ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক বেশি ভাল কাজ করে। এতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। ড. ওয়েস্টনের মতে বেশি ঘুমানো বা খুব কম ঘুমানো, কোনোটাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *