কোটা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা; যা বললেন তারকারা!

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তাল। এ আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। হামলাকারীদের শাস্তিসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের তারকারা।

চিত্রনায়িকা পরীমণি তার ফেসবুকে এক ছাত্রীর ওপর হামলার ছবি প্রকাশ করেন। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, নারীর প্রতি সহিংসতায় আপনার জবান বন্ধ থাকলে আপনি মুনাফিক।

হামলার শিকার ভীত এক ছাত্রীর ছবি প্রকাশ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। সঙ্গে হৃদয়ভাঙা ইমোজি দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। তিনি লেখেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর, আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী, বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র।

মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ তিন শব্দের এক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। এ স্ট্যাটাসের কমেন্টে কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর হামলার একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করেছেন তিনি।

সময়ের আরেক আলোচিত অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। তিনি লেখেন, আপনি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, কিন্তু উচ্চ কণ্ঠে অন্যায়কে অন্যায় এবং ন্যায়কে ন্যায় বলার সাহস নেই তাহলে আপনি একটা আবর্জনা। রাজাকার।

নিজের ফেসবুকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সালমান লিখেছেন, এমন কোনো ছাত্র আছেন যিনি হামলার শিকার হয়েছেন অথবা হলে ঢুকতে পারছেন না? আমি তোমাদের খেয়াল রাখব। তবে, লাখ লাখ মেসেজ বা পোস্টের মধ্যে তোমাদের ফিল্টার করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাই যদি আপনাদের কোনো বন্ধু থাকে আমার বন্ধু তালিকায়, তাদের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তিনি আরও লেখেন, এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু করতে না পারার জন্য দুঃখিত। কারও যদি থাকার জায়গার প্রয়োজন হয় অথবা চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়। আমি আছি। এই মাত্র কিছু ভিডিও দেখলাম যেখানে অনেকেই তাদের হলে প্রবেশ করতে পারছে না। যদি এটা যথেষ্ট না হয় তাহলে আবার ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি সত্যিই ভেঙে পড়েছি, বিব্রত বোধ করছি। জনপ্রিয় হয়েও কোনো কাজে না আসায় লজ্জাবোধ করছি।

এর আগে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন সালমান। তিনি লিখেছিলেন, কোটা একটি কেলেঙ্কারি। এটা সবসময়ই হবে। বাংলাদেশ নিজেই নিজের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে। এটা লজ্জাজনক। দেশের উচিত ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। লাঠি, অবরোধ ও ট্যাঙ্ক দিয়ে তাদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *