কবি মাকিদ হায়দার আর নেই

পাবনার কৃতী সন্তান সত্তরের দশকের রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিত্ব কবি মাকিদ হায়দার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

কবি মাকিদ হায়দার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি।

মাকিদ হায়দারের চাচাতো ভাই মোখলেছুর রহমান বাদশা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকেলে ঢাকা থেকে মরদেহ রওয়ানা দিয়ে রাতে পাবনায় পৌঁছাবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাবনার আরিফপুর সদর কেন্দ্রীয় গোরস্থান মাঠে সকাল ৮টায় জানাজা শেষে সেখানেই দাফন করা হবে। কবি মাকিদ হায়দার অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

তিনি আরও বলেন, যদি সে আমার অনেক ছোট ছিল তারপরও আমরা একসঙ্গেই খেলতাম, বেড়াতাম আবার আড্ডা দিতাম। তিনি খুবই মেধাবী ও ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন। সবার সঙ্গে মধুর ব্যবহার করতেন। আসলে তার মৃত্যুতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন।

কবি মাকিদ হায়দারের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার আরিফপুরের দোহারপাড়া গ্রামে। তার বাবা হাকিমউদ্দিন শেখ ও মা রহিমা খাতুন। সাত ভাইয়ের মধ্যে মাকিদ হায়দার ছিলেন ষষ্ঠ। সাত ভাইয়ের বোনও ছিল সাতজন। মাকিদ হায়দারের ভাই রশীদ হায়দার, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার, জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার সবাই সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত। পাবনার গোপালচন্দ্র ইনস্টিটিউট থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করে ঢাকায় চলে যান মাকিদ হায়দার। এরপর সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ঢাকার বিসিক শিল্প নগরীতে চাকরি করতেন তিনি।

মাকিদ হায়দারের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা (১৯৭৬), আপন আঁধারে একদিন (১৯৮৪), পার্থ ও প্রতিম (২০০৭), কফিনের লোকটি (২০১১), যে আমাকে দুঃখ দিলো (২০১২), প্রিয় রোকানালী (২০১৩), মুমুর সাথে সারা দুপুর (২০১৪)। এ ছাড়া তার একটি গল্পগ্রন্থ ও একটি প্রবন্ধের বই রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *