একাদশ জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট আপ উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (১৯ মে) সকাল ১০টার কিছু আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা।
সাত দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। শুধু দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি করা পণ্য নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে তৈরি পোশাক ও ফ্যাশনশিল্প থেকে। এ খাতের ৭৫টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। অন্যান্য খাতের মধ্যে পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, হালকা প্রকৌশলশিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল বা ভেষজশিল্পের ৫টি, জুয়েলারিশিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের ৩টি, আসবাব খাতের ৩টি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাবসহ প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ নেবে। আমদানি বা বিদেশি কোনো পণ্য থাকবে না মেলায়।
এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।