মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৭

গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার বিকেল ৪ টায় আলীগঞ্জ বাজারে খলিল মিয়া ও হান্নান মিয়া চন্দন দাসের পাওনা সুদের টাকা চাইলে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে খলিল ও হান্নান সহ ১৫/২০ জন মিলে রাত ৯ টায় খানপুর গ্রামে চন্দন দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেন এবং পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ চন্দন দাসের।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক নিতেশ দাস বলেন, ‘রাত ৯ টার দিকে ১৫/২০ জন অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মন্দিরে নির্মানাধীন কালী প্রতিমার হাত ভাঙচুর করেন। এসময় অন্তত্ত ১০ জন গ্রামবাসী আহত হন। আহতদের মধ্যে করুনা দাস (৮৫), অমরী দাস (৫০) চন্দন দাস (৪৫), কাঞ্চন দাস (৪০)কে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অমরী দাস বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে আছি।’
হামলার ঘটনার পর চন্দন দাস বাদী হয়ে হান্নান কে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়েরের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগনাথপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) সু শংকর পাল বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে’
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন চন্দ্র দাস জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধান আসামীসহ ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জগন্নাথপুর উপজেলার ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘সনাতন সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *