এবার ঈদ ও পয়লা বৈশাখে মানুষের মনে স্বস্তি দেখেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সেই স্বস্তি-উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এবার দেশের মানুষ এ দুটি উৎসব পালন করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। দেশবাসী স্বস্তি ও উৎসাহ নিয়ে ঈদ ও নববর্ষ পালন করেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে। ঈদের ছুটিতে ৫ দিন গ্রামে ছিলাম, মাঠে ঘাটে চলেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেয়েছি। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। এছাড়া এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকাশহরে নয় গ্রামেও যেভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেয়া সেটা রমজানের পরেও কি অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রমজান না সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রফতানি বাজিণ্যসহ লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল, এসময় সব কিছুর চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
চালের বস্তায় দাম লেখার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে সমন্বয় করা হবে। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যে সব জিনিস আনা হয়। আর স্থানীয় কৃষি পণ্য ও খাদ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
গ্রামে বেগুন পাঁচ টাকা, সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয় এ বিষয়ে কী কাজ করছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমরা যেটা পারি আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনার যে অংশটুকু আমাদের বিশেষ করে আমদানি ও পাইকারি বাজার। রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি আমরা বারো মাস একইভাবে কাজ করবো। তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই আমাদের নজরদারি থাকবে এবং ভোক্তা অধিকার অন্যান্য বিষয়গুলোও আমরা দেখবো।